পটিয়ায় খামারের ৩ কর্মচারীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে হাত-পা বেঁধে ১৩ লাখ টাকার গরু লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের করনখাইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খামারের মালিক সত্যজিত দাশ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে লোহাগাড়ায় দুই গরু চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোররাতে সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উকিলের পাড়ায় গরু চুরি করতে এলে ধাওয়া করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের করনখাইন গ্রামে সত্যজিত দাশের এ. কে. এগ্রো নামের একটি খামার রয়েছে। বুধবার রাতে প্রতিদিনের মত খামারের কর্মচারী মো. সৈয়দ করিম, অরুপ দে ও জনি দে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে সংঘবদ্ধ চোরের দল খামারের পিছনের লোহার গেইট কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা খামারের তিন কর্মচারীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে হাত-পা বেঁধে দেয়। এ সময় চোরের দল খামারের ৩৭টি গরুর মধ্যে ৭টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৩ লাখ টাকা বলে খামারের মালিক জানান। পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেছেন, গরু চুরি ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। সত্যতা জানতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়েছে। এরপরও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে বাঁশখালীতে গ্রেপ্তারকৃতরা হল উপজেলার জলদি হারঘোনা এলাকার আলী ইসলামের পুত্র করিম উদ্দিন (২৫) ও কলাউজান ইউনিয়নের উত্তর কলাউজান এলাকার আবুল খায়েরের পুত্র হারুনুর রশিদ (২৪)।
পুলিশ জানায়, একদল চোর মাইক্রোবাস নিয়ে উকিলের পাড়ায় গরু চুরি করতে আসে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিনের সহযোগিতায় এলাকাবাসী তাদেরকে ধাওয়া করে। চোরের দলের অন্যরা পালিয়ে গেলেও করিম উদ্দিনকে আটক করতে সক্ষম হন এলাকাবাসী। এ সময় তার কাছ থেকে তালা কাটার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে অভিযান চালিয়ে হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।











