বাঁশখালী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের জলদাশ পাড়ায় অবস্থিত একটি শতবর্ষী পুকুর ভরাটের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রশাসনিক দল।
আজ রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে তিনি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের জলদাশ পাড়ায় অবস্থিত একটি শতবর্ষী পুকুর ভরাটের কার্যক্রমের খবর পেয়ে প্রথমে বাঁশখালী থানা পুলিশের মাধ্যমে কাজ বন্ধ করে দেন। পরে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে এ কাজে জড়িত ফাল্গুনী সমিতির কর্মকর্তারা আত্মগোপনে চলে যায়।
পরে তিনি তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আধ ঘণ্টার মধ্যে দেখা করতে বললে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দেখা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভরাটকৃত মাটি সরিয়ে ফেলার সম্মতি দেয় তারা এবং ভবিষ্যতে আর এ কাজ করবে না বলে জানায়।
ফাল্গুনী সমিতির কর্মকর্তা প্রদীপ বলেন, “আমরা সবাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মুচলেকা দিয়েছি আর মাটি ভরাট করব না। আর যা ভরাট করেছি তা সরিয়ে ফেলব।”
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “বাঁশখালী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের জলদাশ পাড়ায় অবস্থিত একটি শতবর্ষী পুকুর ভরাট করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে দেখা যায় পুকুরের কিছু অংশ ভরাট করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করা হয় এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুকুরে ভরাটকৃত মাটি ও বাঁশের বেড়া অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়।”
উল্লেখ্য, এর আগে ৭/৮ মাস আগে এ পুকুর ভরাট করার চেষ্টা করা হলে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।