আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতনের প্রভাবে দেশীয় বাজারেও কমানো হল এলপিজির (লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) দাম। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম ৮৫ টাকা কমিয়ে ১২২৮ টাকা নির্ধারণ করে। তাছাড়া যানবাহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাস প্রতি লিটার ৫৭ দশমিক দুই চার টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ (৩ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দর কার্যকর হবে। এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে গত ২৯ জুলাই আগের ৮৯১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯৩ টাকা দর নির্ধারণ করে। এরপর ৩০ আগস্ট আবারো বাড়িয়ে ১০৩৩ টাকা করা হয়। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর প্রতি ১২ কেজির বোতলে এক লাফে ২২৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৫৯ টাকা করা হয়। সর্বশেষ গত ৪ নভেম্বর লাগাতার ৫ম বারের মতো বাড়িয়ে ১৩১৩ টাকা করা হয়েছিল।
সৌদি সিপির মূল্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০২০ সালের শুরুতে বৈশ্বিক অতিমারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়ে সারা বিশ্ব। ২০২০ সালের এপ্রিলে গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে। ওই মাসে প্রোপেন প্রতি টন ২৩০ ডলার এবং বিউটেন ২৪০ ডলারে বিক্রি হয়। তবে পরের মাসেই দাম বেড়ে প্রোপেন-বিউটেন দুটোর দামই ৩৪০ ডলারে উঠে যায়। এরপর ধীরে ধীরে দাম বাড়লেও গত জানুয়ারিতে প্রোপেন ৫৫০ ডলার এবং বিউটেন ৫৩০ ডলারে দাঁড়ায়। গত পাঁচ মাসে লাগাতার বাড়ার পর ডিসেম্বর মাসে কমেছে দাম।
সৌদি আরামকোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুন মাসে প্রোপেন ৫৩০ ডলার ও বিউটেন ৫২৫ ডলারে থাকলেও জুলাই মাসে প্রোপেন-বিউটেন দুটোই ৬২০ ডলারে, আগস্ট মাসে প্রোপেন ৬৬০ এবং বিউটেন ৬৫৫ ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে প্রোপেন ও বিউটেন ৬৬৫ ডলার, অক্টোবর মাসে প্রোপেন ৮০০ ডলার এবং বিউটেনের দাম উঠে ৭৯৫ ডলারে। পরবর্তীতে সর্বোচ্চ দর উঠে নভেম্বর মাসে। নভেম্বরে প্রোপেন ৮৭০ এবং বিউটেন ৮৩০ ডলার। যা সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে দরপতন হয়ে প্রোপেন ৭৯৫ এবং বিউটেন ৭৫০ ডলারে মূল্য নির্ধারিত হয়।












