চমেক ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগের বিষয়ে প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার বলেছেন, আমি যখন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, তখন এদের (ছাত্রলীগ কর্মীদের) জন্মও হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারও ক্ষমতায় ছিলনা। বলতে গেলে যখন আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নাম নিতেও মানুষ ভয় পেত, ওই সময়ে আমরা ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। সুতরাং, এদের কাছে নতুন করে আমার পরিচয় দিতে হবে বলে আমি মনে করিনা। এ নিয়ে কথা বলারও প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করছিনা।
একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান দাবি ও আনা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার আজাদীকে বলেন, একাডেমিক কাউন্সিল ঘটনার সাথে শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততার বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ব্যবস্থা গ্রহণের সময় কে কোন গ্রুপের সেটি বিবেচনায় আনা হয়নি। মোটকথা, গ্রুপ বিবেচ্য বিষয় ছিল না। আর এখানে আমার একার কোন সিদ্ধান্তও ছিলনা। পুরোটাই একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত।
তবে শিক্ষার্থীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে অধ্যক্ষ বলেন, তদন্ত কমিটি সবার কাছেই ব্যাখ্যা চেয়েছে। কিন্তু এক পক্ষ জবাব দিলেও অন্য পক্ষ কোন ধরণের জবাব দেয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। যারা জবাব দেয়নি তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় হাসপাতাল পরিচালককে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে চমেক অধ্যক্ষ বলেন, আগের দিন (সভার আগের দিন) হাসপাতাল পরিচালকের সাথে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে। উনার সাথে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় গত ৩০ অক্টোবর থেকে চমেক বন্ধ রয়েছে। ঘটনা তদন্তে ওই দিন ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে চমেক কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার কমিটি তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। ওই প্রতিবেদনসহ আগের আরো দুটি তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ৩১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার ও কলেজ খোলাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চমেক কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থী সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মী। যদিও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপই একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে।












