বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু তার পরিবর্তে যেন ক্রমশ পিছিয়েই পড়ছে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে ১২৭ রান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে করতে পেরেছে স্বাগতিকরা মাত্র ১০৮ রান। প্রথম ম্যাচে বোলাররা কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচের আত্মসমর্পণটা একেবারে অসহায়। ফলে প্রত্যাশার বেলুনটা একরকম চুপসে গেছে। আবার সেই হারের বলয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। দলের তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নেই। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে তরুণদের পরীক্ষা করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সে তরুণরা পারলোনা নিজেদের মেলে ধরতে। সাইফ হাসান ব্যর্থ হয়েছে দুই ম্যাচেই। বাদ পড়েছেন তৃতীয় ম্যাচের দল থেকে। বিশ্বকাপে খেলা নাঈম শেখও ব্যর্থ। অভিজ্ঞ এবং দলপতি মাহমুদউল্লাহও যেন ক্লান্ত। তাইতো তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে বাংলাদেশ দল যেন খাদের কিনারায়। সে কিনারা থেকে ফিরে আসতে পারবে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। কারণ আজ হারলেও যে হোয়াইটওয়াশ হতে হবে টাইগারদের। যদিও আজকের ম্যাচে দলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। কিন্তু দারুণ ফর্মে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে সেটা সম্ভব হবে কিনা তা জানা যাবে আজ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খুব একটা ভাল খেলেনা বাংলাদশ। সেটা সবারই জানা। তার উপর প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের বিপক্ষে পরিসংখ্যানটা আরো খারাপ। ১৪ ম্যাচর ১২টিতে জিতেছে পাকিস্তান। দলটি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও ক্রিকেটাররা রয়েছে দারুণ ফর্মে। যদিও দলটির অধিনায়ক বাবর আজম এখনো রান পাননি প্রথম দুই ম্যাচে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে রিজওয়ান ঠিকই তার জাত ছিনিয়েছে। বোলাররাও রয়েছে দারুণ ফর্মে। কাজেই এমন একটি ইনফর্ম দলের বিপক্ষে আজ কতটা লড়াই করতে পারবে বাংলাদেশ সেটা সময়ই বলে দেবে। প্রথম দুই ম্যাচে বাজে খেলা সাইফ হাসান এরই মধ্যে বাদ পড়েছেন। দলে জায়গা পেতে পারেন পারভেজ হোসেন ইমন। সুযোগ হতে পারে ইয়াসির আলি রাব্বির। সোহান, আফিফরাও পারেনি প্রথম দুই ম্যাচে নিজেদের সামর্থ প্রমাণ করতে। তাই খাদের কিনারা থেকে ফিরে আসতে হলে এই ম্যাচে জয়ের কোন বিকল্প নেই টাইগারদের।
বিটাক এর মোড় থেকে গাড়ী থামিয়ে দেয়া হবে। আগের মতোই দর্শকদের হেঁটেই মূল স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে হবে।