জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গতকালও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। নিজ গন্তব্যে যেতে বাস না পেয়ে সাধারণ মানুষ ছুটে এসেছেন শেষ ভরসাস্থল চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে। ট্রেনের আসনের তুলনায় অধিক যাত্রীর চাপে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে স্টেশনের কর্মকর্তাদের। গত দুদিন ধরে অধিক যাত্রীর চাপ সামাল দিতে গতকাল থেকে রেল কর্মকর্তারা প্রায় ট্রেনে বাড়তি কোচ যুক্ত করেছেন। প্রতিটি ট্রেনে গতকালও যাত্রীসংখ্যা ছিল বেশি। আগে যারা অগ্রিম টিকিট কিনেছেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে যেতে পারলেও হঠাৎ করে যারা টিকিটের জন্য স্টেশনে গেছেন তাদেরকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে স্টেশন এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রতিটি ট্রেনের শতভাগ টিকিট বিক্রি হয়েছে এবং প্রতিটি ট্রেন যাত্রীতে ভরপুর ছিল বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী। পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে গতকাল সকাল থেকে নগরীতে কিছু হালকা যান চললেও দূরপাল্লার এসি বাসসহ সকল গণপরিবহন ছিল বন্ধ। এসি ও ননএসি সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দূরপাল্লার যাত্রীদের একমাত্র ভরসা ছিল ট্রেন। তাই ট্রেনের টিকিট যোগাড় করতে স্টেশনের কাউন্টারগুলোতে ছুটেছেন যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী আজাদীকে বলেন, শুক্রবারের চেয়ে আজ (গতকাল) যাত্রীদের চাপ ছিল অনেক বেশি। শনিবার সকাল থেকে সীমাহীন ভিড় বাড়তে থাকে। এত যাত্রী সামাল দেওয়া আমাদের জন্য কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিক যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসে ২টি বগি যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া মহানগর গোধূলীতে ২টি, সোনার বাংলায় ২টি এবং তূর্ণা নিশিথায় অতিরিক্ত ২টি বগি যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে শতভাগ যাত্রী ছিল। কাউন্টার থেকে কোনো স্ট্যান্ডিং টিকিট দিইনি। তবে কেউ টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠে গেলে টিটিই দিয়ে নামিয়ে দিয়েছি।












