ধর্মান্ধ-ধার্মিকতার মুখ ও মুখোশ

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ৩০ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

বস্তুতপক্ষে প্রত্যেক ধর্মের মৌলিক নির্যাস এক ও অভিন্ন। মানবকল্যাণের সর্বাধিক গুরুত্ব অক্ষুণ্ন রাখা ও সৌহার্দ-সম্প্রীতি-বন্ধুত্বের প্রগাঢ় বন্ধনে ধর্ম-বর্ণ-দলমত নির্বিশেষে মানবিকবিশ্ব গঠনের মধ্যেই ধর্মের মূলমন্ত্র নিহিত। বিশ্বকবি রবীঠাকুরের বিচার-বিশ্লেষণে ধর্মান্ধের হীন অনুসরণে দাঙ্গা-হাঙ্গামা অধর্মের মনস্তত্ত্বকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। ধর্মমূঢ়তাকে নিধন করে মনুষ্যত্বের বিকাশকে শক্তিমান করার একমাত্র উপায় হচ্ছে জ্ঞানের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন। তিনি তাঁর ‘ধর্মমোহ’ কবিতায় উপস্থাপন করেছেন ‘ধর্মের বেশে মোহ যারে এসে ধরে/ অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।/ নাস্তিক সেও পায় বিধাতার বর,/ ধার্মিকতার করে না আড়ম্বর।/ শ্রদ্ধা করিয়া জ্বালে বুদ্ধির আলো,/ শাস্ত্র মানে না, মানে মানুষের ভালো।/ বিধর্ম বলি মারে পরধর্মেরে/ নিজ ধর্মের অপমান করি ফেরে,/ পিতার নামেতে হানে তাঁর সন্তানে,/ আচার লইয়া বিচার নাহিকো জানে,/ পূজাগৃহে তোলে রক্ত মাখানো ধ্বজা-/ দেবতার নামে এ যে শয়তান ভজা।’ ধারাবাহিকতায় জাতীয় কবি নজরুলের মানসচেতনাই তাঁর ধর্মবিশ্বাসকে অত্যুজ্জ্বল করেছে। তিনি সত্যের সন্ধানের জন্য মন্দির-মসজিদ ঘিরে বিভ্রান্তির মোড়কে আবদ্ধ না থেকে মানুষের মানবিক মূল্যবোধকেই সমধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। গভীর নির্ভীকতায় তিনি মধ্যযুগের কবি চন্ডীদাসের অমূল্যবাণী ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’- এই সর্বমানবিক বোধকেই অতিশয় সমাসীন করার জন্য আজীবন সত্যবাদিতার জয়গানে মুখর ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘মানুষের জন্য ধর্মগ্রন্থ, ধর্মগ্রন্থের জন্য মানুষ নয়। ধর্মে সবাই বাঁচে বাড়ে কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা এই বাঁচা বাড়াকে বাধাগ্রস্ত করে।’ অকুতোভয় চিত্তে তিনি ‘মানুষ’ কবিতায় উচ্চারণ করেছেন, ‘মানুষেরে ঘৃণা করি/ ও কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি/ ও মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে,/ যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে।/ পূজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল!- মূর্খরা সব শোনো,/ মানুষ এনেছে গ্রন্থ;- গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো!’
ধরিত্রীর সমগ্র নাগরিকের জানা; বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ উইলিয়াম মুর বলেছিলেন, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যে যুগে এই ধরিত্রীতে আর্বিভূত হয়ে ছিলেন; তিনি শুধু সেই যুগেরই মনীষী নন বরং তিনি ছিলেন সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ মহামনীষী। সমাজের সামগ্রিক অসঙ্গতি, শোষণ, অবিচার, ব্যভিচার, সুদ-ঘুষসহ অপরাধমুক্ত সকলের জন্য মঙ্গল ও কল্যাণকর সমাজ- রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে তিনি অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। স্রষ্টার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও অকৃত্রিম ভালোবাসা, আত্মার পবিত্রতা ও মহত্ত্ব, ক্ষমা, ধৈর্য, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, উদারতা ও অবিচল কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে স্বীয় চরিত্রকে বিশ্ববাসীর জন্য অনুকরণ ও অনুসরণীয় করে বিশ্বশীর্ষ ভূষণায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে প্রসিদ্ধ ও পবিত্রতম আরাফাত ময়দানে প্রায় এক লক্ষ চৌদ্দ হাজার সাহাবীর সম্মুখে বিদায় হজ্জ খ্যাত ভাষণের শুরুতেই সম্ভোধন করেছিলেন ‘হে বিশ্ব মানবকূল’ অর্থাৎ কোন বিশেষ সম্প্রদায়, জাতিরাষ্ট্র বা ধর্ম-বর্ণ নয়, মহান স্রষ্টার সৃষ্টির সেরা সমগ্র মানব সমাজের উদ্দেশ্যেই তাঁর এই ভাষণ ছিল বিশ্বশ্রেষ্ঠ মানবাধিকার সনদ।
উল্লেখ্য সনদের তদ্ভাব সারমর্ম ছিল বৈষম্যহীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আভিমুখ্য জ্ঞানাঞ্জন, মানুষের পারস্পরিক সৌহার্দ-সম্প্রীতি; ধন-সম্পদ; মান-মর্যাদার রক্ষাকবচ। সনদে দীপ্ত কন্ঠে ঘোষিত ছিল, ‘কখনো অন্যের উপর অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করবে না, স্ত্রীদের উপর তোমাদের যেমন অধিকার আছে, তোমাদের উপরও স্ত্রীদের তেমন অধিকার আছে, যে পেট ভরে খায় অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে সে প্রকৃত মুসলমান হতে পারে না, চাকর চাকরাণীদের প্রতি নিষ্ঠুর হইও না, তোমরা যা খাবে, তাদেরকে তাই খেতে দিবে; তোমরা যা পরিধান করবে, তাদেরকে তাই (সমমূল্যের) পরিধান করতে দিবে, কোন অবস্থাতেই এতীমের (পিতৃ-মাতৃহীন মানব) সম্পদ আত্মসাৎ করবে না।’ প্রিয়নবী ভাষণে আরও বলেছিলেন, ‘হে মানবজাতি, ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে না। কেননা অতীতের অনেক জাতি এ বাড়াবাড়ির কারণে ধ্বংস হয়েছে। কোনো অনারবের ওপর কোনো আরবের; কোনো আরবের ওপর কোনো অনারবের, এমনিভাবে শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের এবং কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই।’ পবিত্র হাদিস শরীফে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম এলাকায় সংখ্যালঘু অমুসলিমরা আমানতের মত। যারা তাদের কষ্ট দেবে, কিয়ামতের দিন আমি তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে নালিশ করব’ (সুনানে আবু দাউদ : ৩০৫২)
সম্প্রতি কুমিল্লায় সংঘটিত সর্বজনিন দুর্গোৎসব উদযাপনে পূজামন্ডপে পবিত্র কুরআন শরীফ রাখার বিষয়টি সত্য-মিথ্যা যাচাই ব্যতিরেকে পবিত্র ইসলাম বিরোধী দাঙ্গা হাঙ্গামার অবতারণা সত্যিই দুঃখজনক- অনাকাঙ্খিত- অনভিপ্রেত। ধর্মপ্রাণ কোন মুসলমানের কিছুতেই প্রকৃত সত্য আবিষ্কার ছাড়া বিশ্বাস করা সমীচীন হবে না; হিন্দু কেন যেকোন ধর্মাবলম্বীর দেবদেবী- পূজা অর্চণা- পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআনের অবমাননাকর ন্যূনতম কোন কুৎসিত কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন হতে পারে। অন্যান্য পবিত্র ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থকে অবজ্ঞা-কটূক্তি করে কোন ধার্মিক মানুষ কর্তৃক ধর্মীয় প্রার্থনা-উপসনাকে কলুষিত করার নজির বিশ্বে বিরল। পবিত্র ইসলামে সহিংসতা-বিরোধ-বিচ্ছেদ- বিভৎস খুন- হত্যা- রাহাজানি ইত্যাদি অবশ্যই অগ্রহণযোগ্য। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের সূরা হুজুরাতের ৬ নং আয়াতে বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, যদি কোন পাপাচারী তোমাদের নিকট কোন বার্তা আনয়ণ করে, তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে যাতে অজ্ঞতা বশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্ত না কর এবং পরে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও।’ মহান আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা সূরা আল-হিজরের ৯ নং আয়াতে বলেছেন, ‘আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি আর অবশ্যই আমি এর সংরক্ষক।’ অতএব যথোপযুক্ত প্রমাণ-অনুসন্ধান ব্যতীত মিথ্যা-গুজবের ভিত্তিতে যে কোন ধরনের অপকর্মের অপকৌশল পরিহার করা অতীব জরুরি।
বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বে পরম সত্য হচ্ছে; ধার্মিক বা ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অসাম্প্রদায়িক ধারণায় ঋদ্ধ এবং ধর্মান্ধরাই সাম্প্রদায়িক কদর্য অপশক্তিকে ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে লিপ্ত থাকে। প্রাসঙ্গিকতায় ১৯৭২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গণপরিষদে খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদন উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু জাতির আদর্শের মৌলিক চারটি স্তম্ভ তথা বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে বিশদ ব্যখ্যা দিয়েছেন। চতুর্থ স্তম্ভ- ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বিশ্লেষণে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্ম কর্ম করার অধিকার থাকবে। আমরা আইন করে ধর্মকে বন্ধ করতে চাই না এবং করবো না। মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা এই রাষ্ট্রে কারো নাই।’ বঙ্গবন্ধু আরো বলেন, ‘হিন্দুরা তাদের ধর্ম পালন করবে, কারো বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নাই। বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম পালন করবে, খৃষ্টানরা তাদের ধর্ম করবে তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না। আমাদের শুধু আপত্তি হল এই যে, ধর্মকে কেউ রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না। ২৫ বৎসর আমরা দেখেছি, ধর্মের নামে জুয়াচুরি, ধর্মের নামে শোষণ, ধর্মের নামে বেঈমানী, ধর্মের নামে অত্যাচার, খুন, ব্যাভিচার- এই বাংলাদেশের মাটিতে এ-সব চলেছে। ধর্ম অতি পবিত্র জিনিস। পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা চলবে না। যদি কেউ বলে যে, ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে, আমি বলবো ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়নি। সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্থা করেছি।’ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অন্যান্য নবী-রাসূলদের মতো কোন বিশেষ সম্প্রদায় বা জনপদের জন্য নয়; তিনি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সমগ্র বিশ্বজগতের উদ্দেশ্যে রহমত ও হিদায়তের বাণী নিয়ে আগমন করেছেন।
মনীষী শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, শ্রীচৈতন্যসহ জীবনের সত্য-সুন্দর-কল্যাণ-আনন্দ অনুসন্ধানে যাঁরা প্রতিনিয়ত মানব কল্যাণে সর্বোচ্চ ত্যাগ-তিতীক্ষায় রাজবর্ত্ম উত্তীর্ণ, ধর্মের বিভেদ-বিচ্ছেদে চরম পীড়িত ছিলেন তাঁরা। এমনকি একই হিন্দু ধর্মের মধ্যে শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈব, সৌর, ব্রাহ্মণ একের প্রতি অন্যের ঔদ্ধত্য খড়গহস্ত থেকে পরিত্রাণের জন্য নিম্ন শ্রেণির মানুষের জয়গানে তাঁরা নিবিড় প্রকর্ষে মুখর ছিলেন। ধর্মের সাথে ধর্মের, বর্ণের সাথে বর্ণের, উঁচু ও নিচু বর্ণের মধ্যকার বৈষম্য, ধনী-দরিদ্রের বিভাজন ও নিপীড়ন দূরীকরণে তাঁদের অবদান ছিল অপরিসীম। খ্যাতিমান বাউল লালন শাহ, পবিত্র মাইজভান্ডারী মরমি গানের প্রণেতা শ্রী রমেশ শীলসহ প্রয়াত সূফী শাহ আবদুল করিম রচিত গান উপস্থাপনে ধর্মীয় সম্প্রীতির মানবিক ও নান্দনিক সৌকর্য প্রস্ফুটিত। শাহ আবদুল করিম রচিত গান- ‘গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান – মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম,/ হিন্দু বাড়িতে যাত্রা গান হইত – নিমন্ত্রণ দিত আমরা যাইতাম,/ জারি গান, বাউল গান আনন্দের তুফান- গাইয়া সারি গান নৌকা দৌড়াইতাম…।” এখনো বর্তমান সমাজের চলমান ঐতিহ্য-সংস্কৃতিতে কতটুকু প্রযোজ্য তা সহজে অনুমেয়।
মোদ্দাকথা ধার্মিকতার মুখোশ পরে কথিত বুদ্ধিজীবী-সংস্কৃতিসেবী-কবি-কথাসাহিত্যিক-নানামুখী পেশাজীবীদের কৌশলী প্রচার-প্রচারণা থেকে পরিত্রাণের উদ্দেশ্যে দেশবাসীকে সচেতন হতে হবে। নানাবিধ বিভ্রান্তি পরিহারে ধর্মের মূলমন্ত্র পরমতসহিষ্ণুতা-সৌহার্দ-সম্প্রীতির পরিবেশকে সুসংহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী আদর্শিক চেতনায় ঋদ্ধ হয়ে ধার্মিকতা-ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র শাসনে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার হাতকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তিশালী করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার আহ্বানকে যথার্থ অর্থে মূল্যায়ন করতে হবে। অন্যথায় প্রত্যেক ধর্মে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা স্বল্প সংখ্যক অশুভ-অন্ধকারের পূজারী জঙ্গি-মৌলবাদী-দেশ বিধ্বংসী শক্তির উন্মাদনা-তাণ্ডব দেশের অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে যাওয়ার পথে মারাত্মক অস্থিরতা-প্রতিবন্ধকতা-অন্তরায়ের দুর্ভেদ্য প্রাচীর নির্মাণে হীন অপচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু