চন্দনাইশে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭ ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন ৪২ জন। চন্দনাইশে ইউপি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না হলেও মনোনয়ন প্রত্যাশী সকলেই এখন নৌকার টিকেট পেতে সাধ্যমতো লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নে রয়েছেন ৪ জন। এরা হলেন মো. আবুল কালাম, এড. আবু ছালেহ, মফিজুর রহমান ও আকরাম হোসেন। জোয়ারা ইউনিয়নে রয়েছেন ৮ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী রোকন, মো. সেলিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার, আজিজুর রহমান আরজু, গোলাম আজাদ শিশু, মোহাম্মদ পারভেজ, সরওয়ার উদ্দিন বাচ্চু ও আবুল কাশেম।
বরকল ইউনিয়নে রয়েছেন ৭ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, আবদুর রহিম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসুল ইসলাম খান, সাইফুর রহমান, ফরিদুল ইসলাম, মুরিদুল আলম মুরাদ ও মো. ফিরোজ। বরমা ইউনিয়নে রয়েছেন ৮ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম টিটু, মুক্তিযোদ্ধা একেএম জয়নাল আবেদীন, শহিদুল ইসলাম কাজেমী, বলরাম চক্রবর্ত্তী, জাবেদ মো. গাউছ মিল্টন, মঈনুদ্দিন জুয়েল ও সরওয়ার কামাল। হাশিমপুর ইউনিয়নে রয়েছেন ৭ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীরুল ইসলাম চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, এড. খোরশেদ বিন ইসহাক, মাহামুদুল হক বাবুল, আবদুর রহিম, জাকের হোসেন চৌধুরী ও চৌধুরী আমির মো. সাইফুদ্দিন।
বৈলতলী ইউনিয়নে রয়েছেন ৫ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ারুল মোস্তফা চৌধুরী দুলাল, এড. নাসির উদ্দিন, মো. সায়েম, কলিমুল্লাহ চৌধুরী ও মো. ওয়াশিম। ধোপাছড়ি ইউনিয়নে রয়েছেন ৩ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোরশেদুল আলম, মো. আবদুল আলিম ও দেলোয়ার হোসেন।
সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত তৃণমুল বর্ধিতসভায় দলীয় মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক প্রত্যেকে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সামনে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এছাড়া মনোনয়ন না পেলেও নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী না হওয়া ঘোষণা দেন তারা।
সভায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চন্দনাইশের ৭ ইউনিয়নে দলীয়ভাবে নৌকার প্রার্থী হিসেবে যাকে মনোনীত করেন তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ত্যাগী, নির্যাতিত ও পরীক্ষিত কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। গত নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তাদের নাম কেন্দ্রে প্রেরণ করা হবে না।