চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে কন্টেনার জাহাজের কোনো জটই নেই। গতকাল সোমবার বহির্নোঙরে একটিও অপেক্ষমাই কন্টেনার জাহাজ ছিল না। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্নমুখী পদক্ষেপের কন্টেনার জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছে। গড়ে তিনদিনের মতো অপেক্ষা করে জেটিতে বার্থিং পাওয়ার স্বাভাবিক ধারায় এমন উন্নতিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, গত বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কন্টেনার জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে জাহাজের অবস্থানকাল কমানোর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন ধরে জাহাজজট অবিশ্বাস্যভাবে কমে যায়। জাহাজের অবস্থানকাল একদিনে নেমে আসে। অর্থাৎ ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট থেকে আসা জাহাজ একদিন অপেক্ষার পরই জেটিতে ভিড়তে পারছে। দিনে আসা জাহাজ ওইদিনই জেটিতে ভিড়ার নজিরও স্থাপন করেছে। গতকাল বহির্নোঙরে কোন অপেক্ষমান কন্টেনার জাহাজই ছিল না। যতগুলো জাহাজ এসেছে সবগুলো বন্দরের জেটিতে বার্থিং নিতে সক্ষম হয়েছে। আমদানি বাণিজ্য বাড়লেও বন্দরের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের এই গতিশীলতা আমদানিকারকদের উচ্ছ্বসিত করছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক গতকাল অপেক্ষমান কোনো জাহাজ না থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বন্দরের কার্যক্রমে ব্যাপক গতিশীলতা তৈরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।