দেশ হতে দেশান্তরে

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ২৪ অক্টোবর, ২০২১ at ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ

পুরা টিকিট, আধা টিকিট ও হুজ্জতি কষ্ট
চায়নিজ টিকিটওয়ালা কাকার হাতে টাকা হস্তান্তরিত হতেই, এ ক’দিনে প্রাপ্ত ও উপলব্ধ অভিজ্ঞতার কোন ব্যত্যয় না ঘটিয়ে, উনি প্রথমে প্রতিটি নোট টিপে টুপে পরীক্ষা করে, তারপর ফের একে একে প্রতিটি নোটকেই একটু উপরে তুলে আলোর বিপরীতে ধরে, আলাদাভাবে খালি চোখের আতশকাঁচে আসলত্ব নকলত্বের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার ব্যাপারে ব্যস্ত হয়ে পড়তে দেখে; বুঝলাম চায়নিজ জালিয়াতরা নকল টাকা দিয়েও হয়তো অহরহই ঢুকে পড়ে তাদেরই জাতীয় পিঠস্থান এই গ্রেট হলেও। আসলে আর কিছু না হলেও সব দেশের জোচ্চোরদেরই একই ধর্ম। তা হল স্থান কাল পাত্র বিচার না করে জোচ্চুরি করে যাওয়া, যখনই পাওয়া যায় সুযোগ।
টিকিট হাতে পাওয়ার পর, হাত বের করে ওগুলো গুনে পাঁচটা টিকিটের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতেই মনে হল, আরে একটা ভুল তো হয়ে গেছে। আমাদের দুপুত্র তো বাচ্চা, মানে অপ্রাপ্তবয়স্ক। সব দেশেই তো এ বয়সী বাচ্চাদের জন্য হাফ টিকিটের ব্যবস্থা থাকে, এমন কি অন্য দেশের দু এক জায়গায় তো দেখেছি এরকম জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ঢুকতে এ বয়সী বাচ্চাদের জন্য টিকিটই কাটতেই হয় না। আমি তো এখানে তা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। তাতে তো কিছু রেন মেন বি বাঁচাতে পারতাম। আচ্ছা বলবো না কি ঘুরে ফের সেই কথা?
সাথে সাথেই বাতিল করে দিলাম চিন্তাটা দুই কারণে। প্রথমত মনে হল আচ্ছা, কাচের দেয়ালের ওপারে বসে থাকলেও, টিকিটওয়ালা কাকা তো পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিল আমাদের পরিবারটিকে। অতএব বাচ্চাদের আধা টিকিটের ব্যবস্থা থাকলে সে তো বলতোই তা, যেমন ঘটেছিল অন্তত শ্রীলংকায়। পরিষ্কার মনে আছে শ্রীলংকায় প্রথমে এরকম ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলাম কলম্বোর অদূরে ক্যান্ডি যাওয়ার পথে পিন্নাওয়ালায় যে হাতির এতিমখানা আছে ওখানে পরিবার সে ঘুরতে গিয়ে। ওখানে টিকিট কাটা ঘরের টিকিটওয়ালাকে, বিদেশী হিসাবে পাঁচটা টিকিটের জন্য তাকে টাকা হস্তান্তর করতেই সে সিংহলি ভাষায় চোখ মাথায় তুলে জিজ্ঞেস করেছিল এতো টাকা দিচ্ছি কেন? আমাদের গায়ের রং, আকার আকৃতির কারনে সে টিকিটওয়ালা ভেবেছিল শ্রীলংকান তামিল বা সিংহলি। শ্রীলংকান নাগরিকরা ওখানে ঢুকতে নামমাত্র মুল্যে টিকিট কিনতে হয়ে। সে তুলনায় বিদেশীদের গুনতে হয় ৫০/৬০ গুন বেশী দাম। স্বভাবতই বাংলাদেশী হিসাবে ওখানে বিদেশীদের জন্য নির্ধারিত দাম হিসাব করেই টিকিটের মূল্য দিয়েছিলাম।
শ্রীলংকান সেই টিকিট ঘরের টিকিট ওয়ালার সিংহলী ভাষার প্রশ্নের জবাবে যখন ইংরেজিতে জানিয়েছিলাম যে আমরা বাংলাদেশী, তাতে খুব একটা আন্তরিকতার হাসি উপহার দিয়ে, টাকা গুনতে কিছু টাকা ফিরিয়ে দিয়ে বলেছিল , বাচ্চাদের জন্য সে টিকিটের দাম মওকুফ করে দিচ্ছে । কারণ হিসাবে বলেছিল ঐ জায়গাতে নাকি শ্রীলংকান বাচ্চার বিশেষত স্কুলের বাচ্চার ঢুকতে পারে মুফতে। সে তার ক্ষমতাবলে তা বলবৎ করছে দীপ্র অভ্রের উপর! তাতে আড়াই নাকি তিন হাজার রুপি বেঁচে গিয়েছিল সেবার আমার। অতএব এখানেও ওরকম কিছু থাকলেও তো চায়নিজ কাকা নিশ্চয়ই তা বলতেন।
সাথে সাথে মনে হল, আরে এটা কি ভাবছি? গত কয়েকদিনের অভিজ্ঞতায় তো মনেই হয়নি যে চিনাদের, বিদেশিদের ব্যাপারে বিশেষত আমাদের মতো কালো গায়ের চামড়ার লোকদের নিয়ে কোন ধরনের কৌতূহল আছে। এ পর্যন্ত কোন জায়গাতেই আমাদের উপস্থিতিকে ওখানকার উপস্থিত লোকজনকে মোটেই গ্রাহ্য করতে দেখিনি। তার বিপরীতে শ্রীলংকানরা কিন্তু বিদেশিদের ব্যাপারে বেশ কৌতূহলী আর সজাগ। একই ধরনের কলোনিয়াল দাসত্বের ঐতিহাসিক ভিত্তির কারণে আমাদের আমজনতার মতো শ্রীলংকান আমজনতারও সাদা চামড়ার বিদেশীদের প্রতি একটা মোহ আর ভক্তিভাব আছে। তবে গায়ের রং আর শারীরিক গঠনের মিলের কারণে হউক কিম্বা অন্য যে কারণেই হউক বাংলাদেশিদের তারা বেশ সমাদর যে করে তা বুঝেছি অনেকবারই, থেকেছি যখন ঐ দেশে দুই দুটি বছর। অতএব এ চায়নিজ কাকার কাছে সেরকম কিছু যে আশা করাই এক আকাশ কুসুম কল্পনা, সেটাই তো বলে আমাদের এ ক’দিনের অভিজ্ঞতা। তারপরও আমি যদি ঘুরে তাকে বোজাতে যাই যে দু পুত্রের জন্য চাই আধা টিকিট, সেটাইবা বোঝাব কিভাবে তারে? আর অনেক ধস্তাধস্তি করে বোঝাতে পারলেও তা শুনে যদি টিকিটওয়ালা কাকা তা পাত্তা না দেয়, বা বলে যে এখানে ওরকম নিয়ম নাই, তা হলে তো অপমানিত বা মনক্ষুণ্ন হতে হবে । থাক , লাগবে না বাঁচানো টাকা ।
“কি ব্যাপার কি ভাবছ ? টিকিট কাটা হয়নি আমাদের ?” লাজুর এই জিজ্ঞাসায় টিকিট হাতে নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে কি যে ভাবছিলাম মনে, তার হদিশ না দিয়ে বললাম চল সবাই। কারণ সেটা বললেই আবার ও নির্ঘাত বলবে, “আরে বলেই দেখো না, যদি বাঁচে টাকা। ৬০ রেন মেন বি না হলেও তিরিশ রেন মেন বি কি কম টাকা নাকি? “তার মুখ থেকে সে আদেশ জারী হলে তা তো হয়ে উঠবে অবশ্য করণীয় ।
কিন্তু এ মুহূর্তে পুরা টিকিট আধা টিকিট বিষয়ক চায়না বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু করলে তাতে এই টিকিট কাকার সাথে ভাষা বিভ্রাটের কারনে কতো সময় যে লাগে, কিম্বা তা বোঝাতে গিয়ে যে কতো হুজ্জত হয়, তা তো ঠাহর করতে পারছি না। সেক্ষেত্রে ৬০ বা ৩০ রেন মেন বি গচ্ছা দেওয়াই বরং ভাল, কারণ অর্থনীতিবিদরা যাকে বলে অপরচুনিটি কষ্ট, অর্থনীতিতে ক অক্ষর গো মাংশ জ্ঞান নিয়েও পরিষ্কার বুঝতে পারছি এক্ষেত্রে আমার হুজ্জতি কষ্ট হবে অনেক বেশী। অতএব থাকুক তোলা পুরা না আধা টিকিট বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। আর এ ব্যাপারে যে মুখও খোলা যাবে না ঘুণাক্ষরেও, এ নিয়ে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছুলাম ফের ।
সবাইকে নিয়ে টিকিট ঘরের চত্বর বেরিয়ে করিডোর ধরে কিছুদুর এগিয়ে বা দিকে মোড়ে নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রেট হলে ঢোকার মুখে গিয়ে দেখি, বেশ কিছু স্থানীয় দর্শনার্থীতে এক্কেবারে জায়গাটি গমগম না করলেও লোকজন যথেষ্টই আছে এখানে। যা নাকি বাইরের খাঁ খাঁ তেপান্তরের সাথে একদমই বেমানান। এতো লোক এখানে একসাথে দেখে মনে হল, বাইরের হিমের কামড় আমরা না হয় বাঙালি বলে সহ্য করতে পারছিলাম না, কিন্তু এরা তো এই দেশেরই লোক। এরাও তো দেখছি বাইরের তিয়েন আন মেন চত্বরে এই হিমে ঘোরাঘুরি করার সাহস করছে না, সে জায়গায় আমি বঙ্গের কোন বাহাদুর যে মনে মনে করেছিলাম সে পরিকল্পনা!
এরই মধ্যে জনে জনে একটা করে টিকিট হাতে ধরিয়ে দিয়ে সবাইকে ইশারার করলাম গ্রেট হলে ঢোকার যে লাইনটি দেখা যাচ্ছে সামনে ওখানে গিয়ে লাইন ধরতে একে একে। সে কথায় সাথে সাথেই সাড়া দিয়ে হেলেন আর দীপ্র সামনে লাইনের লেজের দিকে এগিয়ে যেতেই দেখই সিকিউরিটির পোশাক পড়া একজন এগিয়ে এসে ওদের পথ রোধ করে দাঁড়াতে দেখে, নিজেও ঐদিকে পা বাড়াতেই একরাশ হতাশায় গলা উঁচু করে হেলেন বললো
‘দেখ দাদা , কি যেন বলছে এ। বুঝতে পারছি না।’ ঐদিকে ততোক্ষণে দীপ্রর ক্যাম্ব্রিজ এঙেন্টের ইংরেজির তোপের মুখে সেই নিরাপত্তারক্ষীর বেচারা নিরুপায় আর হতাশ ভঙ্গিতে হাত পা মাথা নাড়িয়ে চুং চং চি চি করতে করতে প্রাণপণে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে, এই মুশকিল থেকে আসান পাওয়ার !
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেবার উদ্দেশ্যে দ্রুত এগিয়ে যেতে যেতে, রক্ষি বেচারার হাতের ইশারা আর দেহভঙ্গিতে ইতিমধ্যেই বুঝে গেছি যে, হেলেনের কাঁধে আর দীপ্রর পিঠে যে পিঠ ব্যাগ আছে, তা নিয়ে ঐ লাইনে দাঁড়ানো যাবে না। যার সোজা মানে হল, গ্রেট হলে ব্যাগ নিয়ে ঢোকা নিষেধ। যদি তাই হয়, তবে রাখবো কোথায় ওগুলো? বাইরে আশেপাশে কোথাও আমাদের গাড়িটা পার্কিং করা থাকলে না হয় রাখতাম ওসব, গাড়িতেই । কিন্তু গাড়ি যে কোথায় আছে এ মুহূর্তে তাও তো জানি না। আর লি খাঁ কে যে ডাকব সে উপায়ও তো নাই, যেহেতু পকেটের ফোন পরিণত হয়েছে লাশে। বয়স তার কতো তা তো অনুমান করতে পারছি না বরাবরের মতো, তবে আন্দাজ করলাম বয়স এর টিকিট কাকার চেয়ে অনেক কমই হবে। অতএব তার সামনে গিয়ে ইংরেজিতে কোন ধানাই পানাই না করে হাতের ভঙ্গিতে ব্যাগ দেখিয়ে আমাদের বিশ্বখ্যাত মুকাভিনেতা পার্থপ্রতিম মজুমদারকে এ মুশকিলের একমাত্র আসান ধরে নিয়ে, হাত পা মাথা তুমুল নাড়াতে নাড়াতে খাস বাংলায় বললাম, বুঝলাম ভাতিজা, এই দুজনের ব্যাগই না শুধু আমাদের কারোই ব্যাগ নিয়ে ঢোকা চলবে না গ্রেট হলে। কিন্তু তা রাখবো যে কোথায় এগুলো, এখন? সে জায়গাটা দেখাও দেখি এবার বাপধন।
বাহ! কাজ হল দেখছি। আমাদের পেরিয়ে যে দরজা দিয়ে ঢুকেছিলাম, সেদিকে যেতে যেতে হাতের ইশারায় দেখছি ডাকছে সে যেন যাই তার পিছু পিছু। দ্বিরুক্তি না করে তার পিছু পিছু সেই ঘরে থেকে বেরিয়ে এলাম ফের বারান্দায়। বারন্দায় পৌঁছুতেই ঐ, এই ঘরের সাথে প্রায় লাগোয়া ডান দিকের একটা বিল্ডিঙয়ে ঢোকার দরজা দেখিয়ে দিল, যার দূরত্ব হবে এখান থেকে প্রায় ত্রিশ চল্লিশ মিটার। ভাবলাম এ আবার কেমন পরিকল্পনা এদের! এখন আবার সবাইকে নিয়ে এই হিমে এ দালান থেকে বেরিয়ে খোলা আকাশের নীচ দিয়ে হেঁটে যেতে হবে ঐ বিল্ডিং এ শুধু ব্যাগ জমা করার জন্য!
কিন্তু করার তো কিছু নাই। চায়নায় এসে পড়েছি তো চায়নিজ সিকিউরিটির পাল্লায়। উপায় কি? ভাতিজাকে ধন্যবাদ দিয়ে বললাম তোমার কথা বুঝছি। ওইখানেই ব্যাগ জমা রাখমু। ঠিক আছে চল যাই ভিতরে। সবাইরে নিয়া তো আর যাওন দরকার নাই ওইখানে। আমিই সবার ব্যাগবুগ রাইখা আমু নে। ভাতিজা তোমার আর নো চিন্তা ।
দলের কাছে ফিরেই, সবাইকে বললাম যে ব্যাগের ভেতরে কারো মূল্যবান কিছু রাখা থাকলে তা যেন বের করে নিয়ে, ঢুকিয়ে নেয় সেসব যার যার জ্যাকেট বা কোটের পকেটে। পাসপোর্ট তো রাখা যাবেই না ব্যাগে, এছাড়াও অবশ্যই রাখা যাবে না কোন টাকা, ডলার বা রেন মেন বিও। এ যে কোন সাধু সন্তদের ভূমি নয়, তা তো টিকিটঘরের কাকার টাকা পরখ করার ধরনেই বুঝেছি। আর চায়নার সরকারী জায়গায়ও যে সব সাধু সন্তরা চাকরি করে, তাও তো নয়। আর তাও যদি করেই তারপরও, ঐ রিস্ক নেয়া যাবে না।
এসব বলতে বলতে ততোক্ষণে নিজের কাঁধব্যাগ থেকে পাসপোর্ট, টাকা, প্লেনের টিকিট, হোটেল রুমের চাবিকার্ড আর অতিরিক্ত মোবাইল সেট বের, ব্যাগটাকে আক্ষরিক অর্থে ফোকলা করে দিয়ে ঐ সব চালান করে দিলাম শরীরে স্তরে স্তরে চড়ানো নানান গরম কাপড়ের পকেটে পকেটে ।
দ্রুতই নিজের কাজ সমাধা করে, অতঃপর পড়লাম দুপুত্রের পিঠব্যাগে নিয়ে । যদিও তাদের ব্যাগে গুরুত্বপূর্ণ বা অগুরুত্বপূর্ণ কোন কিছুই নিয়ে শহর ঘুরতে বের হবার কোনই কারণ নেই; তারপরও আজকালকার কুলবয় ফ্যাশন হিসাবে অকারণেই তারা পিঠে ব্যাগ বহন করে বেড়ায় সর্বক্ষণ। তা ওদের ব্যাগ খুলে সরিয়ে রাখার মত মুল্যবান জিনিস যা পাওয়া গেল, তা হল তাদের ঐ আইপ্যাড আর আইপড। অতএব ঐ দুই ছোঁয়া যন্ত্র তাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে, খালি ব্যাগগুলো নিয়ে তাকালাম বাকী দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের অতীব গুরুত্বপূর্ণ হাতব্যাগ দুটো হাতে পাবার আশায় সেইদিকে। দেখি এরই মধ্যে ব্যাগ থেকে পাসপোর্ট আর টাকার ছোটপার্স বের করে পুত্রদের হাতে ধরিয়ে দিলেও, ফের দুজনেই তুমুল মনোযোগে যার যার হাতব্যাগের নানান পকেট আর খোপ হাতিয়ে দেখছে। ধারণা করলাম সোনার কোন আংটি বা কানের দুল টুল যাতে পড়ে না থাকে ব্যাগের কোনো পকেটে সে ব্যাপারেই নিশ্চিন্ত হতে চাইছে দু’জনেই।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সংগঠক

পূর্ববর্তী নিবন্ধমনবাড়ি
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের নারী ক্ষমতায়নের যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে পারে কি