হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কালাবাদশা পাড়ার মোহাম্মদ হাসানের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী পুত্র মোহাম্মদ আহাদ ( ১৬)। সে তার নানার বাড়ী ফরহাদাবাদ গ্রামে থেকে লেখাপড়া করে। ফরহাদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী আহাদ।
এবার তার একান্ত ইচ্ছে ছিল পবিত্র ঈদে মিলাদুনবী (সঃ) জুলুসে যাওয়ার। সেই হিসাবে বন্ধের দিন বাড়িতে এসেছিল ফরহাদাবাদস্থ নানা বাড়ী থেকে জুলুসে যাওয়ার জন্য। সে যথারীতি জুলুসে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিল। সকালে গোসল করার জন্য পুকুরে গিয়েছিল। সে ছিল মৃগী রোগী। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। গোসল করার জন্য পুকুরে নামলে সে হঠাৎ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। পানিতে ডুব দিয়ে আর উঠতে পারেনি।
পরে খোঁজাখুজি করতে গিয়ে পুকুরে ভাসমান লাশ দেখতে পায় তার অভিভাবক ও স্থানীয়রা। তার লাশ দেখে অভিভাবকদের মধ্যে বিশেষ করে তার মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
পরিবার, পাড়া প্রতিবেশী ও স্বজনদের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। পিতা-মাতার তিন সন্তানের মধ্যে আহাদ ছিল সবার বড়। এলাকার মরহুম ডাক্তার শেখ আহম্মেদের ছোট ভাই মরহুম লতু মিয়া মিস্ত্রির ছেলের ঘরের বড় নাতি আহাদ। তার এই অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে পিতা মাতা ও অভিভাবকদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে।