মৌসুমী বায়ু বিদায়ের প্রাক্কালে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সারা দেশে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামীকাল বুধবার থেকে সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস। তাছাড়া গত কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমও কমেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাসহ দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সৈয়দ আবুল হাসানাৎ দৈনিক আজাদীকে বলেন, মৌসুমী বায়ুর বিদায়ের প্রাক্কালে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের আশংকা রয়েছে। পরশু (বুধবার) থেকে কমবেশি সবখানেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সেই সাথে অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুতুবদিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ২৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। তেলেঙ্গানা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান লঘুচাপটি বর্তমানে মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় বলা হয়, চট্টগ্রাম, কঙবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।