অপরাধ দমনে নজরদারি বাড়াতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ৭শ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করছে পুলিশ। আগে স্থাপন করা দুইশ ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ‘আই অব চট্টগ্রাম’ নামের নতুন একটি প্রকল্পের আওতায় উক্ত সাতশ ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। বিভিন্ন থানা এলাকায় স্থাপিত ক্যামেরাগুলোকে সিএমপি সদরদপ্তর থেকে মনিটরিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সিএমপি সদর দপ্তরের চতুর্থ তলায় স্থাপিত সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম থেকে পুরো নগরীর ক্রাইম স্পট হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলো মনিটরিং করা হবে।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর অপরাধ দমনে নজরদারি বাড়াতে ২০১৪ সালে শহরের চারটি প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রায় দুইশ ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। যথাযথ তদারকি এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব ক্যামেরার অধিকাংশই অকেজো হয়ে গেছে। তবে বিভিন্ন সময় নগরীর অপরাধী শনাক্তে এসব ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এক একটি ক্যামেরা দিয়ে পুলিশ বহু অপরাধীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এই অবস্থায় নগর পুলিশ আই অব চট্টগ্রাম নামের নতুন একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্পের আওতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে ৭শ ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। নগরীর সিএমপি সদরদপ্তরে সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে ওখান থেকে সার্বক্ষণিকভাবে ক্যামেরাগুলো মনিটরিং করা হবে। এজন্য পুলিশের ১০ সদস্যের একটি প্রশিক্ষিত টিম গঠন করা হয়েছে। একই সাথে ক্যামেরাগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এবং যথাযথভাবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়ার জন্য একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের সদস্যরাও সার্বক্ষণিকভাবে কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালন করবে। যাতে কোথাও কোনো ক্যামেরা নষ্ট হলে বা সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত করা যায়। এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিসি টিভি অপরাধী শনাক্তে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। শহরের বহু ঘটনা আমরা সিসি টিভির মাধ্যমে শনাক্ত করেছি। তিনি বলেন, আমরা বেশ বৃহৎ পরিসরে কাজ শুরু করেছি। বিভিন্ন থানা এলাকার সিসি টিভিগুলো সেন্ট্রাল থেকে ক্লোজলি মনিটরিং করা হবে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো সার্বক্ষণিকভাবে পুলিশি নজরদারিতে থাকবে বলেও বিজয় বসাক উল্লেখ করেন।












