জাতিসংঘের নীতি কাঠামোর আলোকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে মানবাধিকার, ঝুঁকি ও সুশাসনের মত সূচকে এগিয়ে যাওয়ার তাগিদ এসেছে এক আলোচনা সভায়। এতে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেছেন, ২০২৪ সালের পর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে শ্রমিকদের মানবাধিকার এবং সুশাসনে পিছিয়ে থাকলে রপ্তানি বাণিজ্যেও পিছিয়ে পড়বে। শনিবার ‘জাতিসংঘের নীতিকাঠামোর আলোকে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতে শ্রম ও কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। খবর বিডিনিউজের।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি ও ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে শ্রম ও কর্সংস্থান বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. ইহসান-ই-ইলাহী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। গেস্ট অব অনার ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান ও বিকেএমইএ এর প্রথম সহসভাপতি মো. হাতেম। এছাড়া শ্রমিক নেতাসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধে বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ৬০৩টি পোশাক কারখানায় সমপ্রতি ক্রিশ্চিয়ান এইড ও সিপিডি এর যৌথভাবে পরিচালিত একটি জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। প্রধানত এসব কারখানার শ্রমিক মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। মূল প্রবন্ধে জরিপের তথ্য উপস্থাপন করে সিপিডি এর গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে মানবাধিকার নীতি প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। সুশাসনের চর্চা হচ্ছে মাত্র ৩৮ শতাংশ কারখানায়।