কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠানে দফায় দফায় বন্য হাতির আক্রমণে স্থানীয়রা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফের বন্য হাতির তাণ্ডবে বসতঘর, স্থানীয় কৃষকদের ধানি জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। ওইদিন রাতে কেইপিজেডের পাহাড় থেকে দুইটি বন্য হাতি এলাকায় ঢুকে ভোর পর্যন্ত উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের আবু সিকদার বাড়ির নুর মোহাম্মদ কালু ও বৃদ্ধা নুর জাহান বেগমের বসতঘর ভাঙচুর ও ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। শেষে মশাল জ্বালিয়ে, পটকা ফাটিয়ে এবং টিনের ড্রাম বাজিয়ে এলাকাবাসীর দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় হাতিগুলো এলাকা ছাড়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধা নুর জাহান বেগম জানান, প্রায় ৪ বছর ধরে হাতির আক্রমণে আমাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। রাতের আধারে কখন হাতি এসে আক্রমণ করে এ নিয়ে তটস্থ থাকতে হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে দুইটি হাতি পাহাড় থেকে নেমে বাড়িঘর ভাঙচুর চালায়। কৃষক আবু সৈয়দ জানান, বড় উঠান এলাকায় হাতির তাণ্ডব নতুন কিছু নয়। দুই বছর ধরে হাতির আক্রমণে ফসলও ঘরে তুলতে পারছি না। এতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, খাবারের খোঁজে পাহাড় থেকে বন্য হাতি নেমে প্রায় সময় এলাকায় তাণ্ডব চালায়। এতে মানুষের ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। বড়উঠানের পাহাড়ি এলাকায় রাতের বেলায় মানুষ চোখ বুঝে একটু ঘুমাতেও পারে না। বিষয়টি আমি বনবিভাগকে জানিয়েছি।