একজনের একাধিক জন্মসনদ থাকতে পারবে না

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের সভায় বিভাগীয় কমিশনার

| বৃহস্পতিবার , ৭ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান বলেছেন, মানুষের জন্ম একবার, মৃত্যুও একবার। তাই জন্ম-মৃত্যু সনদ থাকবে একটি করে। দেশের সকল নাগরিক যদি জন্ম ও মৃত্যু সনদের আওতায় আসে তাহলে এ দেশের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান হিসাব করতে সহজ হবে এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। একজন ব্যক্তির একাধিক জন্মসনদ থাকতে পারবে না। রোহিঙ্গারা যাতে জন্মনিবন্ধনের আওতায় আসতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আয়োজিত জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘সবার জন্য প্রয়োজন, জন্ম ও মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন’। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় দিবসটি পালন করা হয়।তিনি বলেন, ২০৩০ সালে এসডিজি পূরণের জন্য জন্মনিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ বছর রাজশাহী বিভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠ বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে। আগামীবার এই অর্জন যেন চট্টগ্রাম বিভাগের হয়। অর্থাৎ জেলা পর্যায়ে যেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচিত হয় এজন্য সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমের লক্ষ্য অর্জনে এ বছরে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ উপজেলা আনোয়ারা।
এ উপজেলার শ্রেষ্ঠ বারশত ইউনিয়নের কার্যক্রম সারা দেশে মডেল। এছাড়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ইউনিয়ন/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য সহকারী/পরিবার পরিকল্পনা সহকারীদের নিকট থেকে সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, টিকা প্রদান/স্কুলে ভর্তি/পাসপোর্ট ইস্যু/জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ/আইনি সেবা প্রাপ্তিসহ ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ কাজে জন্মসনদ আবশ্যক। সকলের জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি গণপ্রচার করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। চট্টগ্রাম জেলার নবাগত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সহায়তা প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. উখ্য উইন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীর বড়উঠানে হাতি আতংক
পরবর্তী নিবন্ধজাপান যেতে ঘর ছেড়েছিল পল্লবীর ৩ শিক্ষার্থী : র‌্যাব