কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া রাজনীতিবিদদের শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাস চর্চা-বিশেষত এসব নিয়ে লেখালেখির প্রতি আগ্রহ বা ঝোঁক খুব একটা নজরে পড়ে না। ফলে একটি দেশ ও জাতির রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ নানা ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া এবং ঘটমান অনেক কথা- যা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকতে পারতো তা আড়ালে থেকে যায়। এক্ষেত্রে কিছু বাস্তবতাও অনস্বীকার্য। বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী কিংবা সরকার প্রধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ব্যস্ততম সময় কাটানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত ইতিহাস আশ্রিত বই বের করার মতো লেখালেখি চালিয়ে যাওয়া সহজ ব্যাপার নয়। কারণ লেখালেখি করতে গেলে পড়ার অভ্যাস এবং সৃজনশীল মন থাকা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে যে কজন হাতে গোনা রাজনীতিবিদ পাঠাভ্যাস ও লেখালেখির মাধ্যমে সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন তাঁদের মধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নাম বিশেষভাবে অগ্রগণ্য। যদিও সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর প্রধানমন্ত্রী অভিধার কারণে লেখক অভিধা অনেকটা চাপা পড়ে আছে। তাঁর বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও লেখক সত্তার অধিকারী ছিলেন, যার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর তিনটি অমূল্য গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে। এসব বই ইতিমধ্যে সব মহলে উচ্চ-প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর বেশ কিছু প্রকাশিত প্রবন্ধও সূধি মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
শেখ হাসিনা শিশুকাল থেকে পরিণত বয়স পর্যন্ত তাঁর পরিবারে নানান চড়াই-উতরাই, তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সমসাময়িক কালের অনেক নেতা-কর্মীর রাজনীতির বিকাশ ও পরিণতি, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন নানা ঘটনার জীবন্ত সাক্ষী। তিনি কাছে থেকে দেখেছেন সরকারি ও বিরোধীদলীয় রাজনীতির উত্থান-পতন, রাষ্ট্রপরিচালনায় নানা ঘাত-প্রতিঘাতময় ঘটনাপ্রবাহ এবং সমাজের সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও বৈষম্যমূলক পরিবেশ-পরিস্থিতি। নিজে রাজনীতি করতে গিয়েও সঞ্চয় করেছেন অনেক অভিজ্ঞতা। সমস্যাসঙ্কুল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা, কখনও বিরোধী দলের নেতা এবং গত প্রায় দেড় যুগ ধরে সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করার ফাঁকে ফাঁকে অনেক প্রবন্ধ তিনি লিখেছেন। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ২০ টির বেশি বই। এসব লেখালেখির মাধ্যমে তাঁর মাঝে ফুটে উঠেছে একজন সফল রাজনীতিবিদের পাশাপাশি একজন সফল লেখক সত্তা।
লেখক শেখ হাসিনার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ওরা টোকাই কেন’, ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’, ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, ‘দারিদ্র দূরীকরণ ঃ কিছু চিন্তা-ভাবনা’, ‘সহে না মানবতার অবমাননা’, ‘বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়ন’, ‘বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা’, ‘আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম’, বাংলা আমার আমি বাংলার’, ‘আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’, ‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’, ‘বিএনপির দুঃশাসন ঃ উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের নমুনা’, ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’,‘সাদাকালো’, ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’, ‘ÔMiles to Go, The Quest for Vision-21′ (two volumes), `People and Democracy’,`SECRET DOCUMENTS OF INTELLIGENCE BRANCH ON FATHER OF THE NATION BANGABANDHU SHEIKH MUJIBUR RAHMAN ‘, ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ’, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-জনক আমার নেতা আমার’ ইত্যাদি।
তাঁর প্রায় লেখায় সমাজের অসাম্য, অনাচার, অবিচার, অশিক্ষা, দুর্নীতি, হিংসা হানাহানি, স্বৈরশাসন ইত্যাদির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। এসবের অবসান ঘটিয়ে সমাজ পরিবর্তন ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নিজের চিন্তা-চেতনার প্রকাশ ঘটেছে বিভিন্ন লেখায়। এ ছাড়াও লেখাগুলোতে রয়েছে সমাজ পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা ও আদর্শের প্রতিধ্বনি।
যেমন ‘দারিদ্র্য দূরীকরণ ঃ কিছু চিন্তাভাবনা’ প্রবন্ধ সংকলনটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯৫ সালে। আওয়ামী লীগ তখনো ক্ষমতার বাইরে। রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে উদ্বেগ ও তা থেকে উত্তোরণের উপায় নিয়ে শেখ হাসিনার চিন্তা-ভাবনার প্রকাশ ঘটে সংকলনটির বিভিন্ন প্রবন্ধে। এর ভূমিকায় তিনি লিখেছেন-‘ছোট ছোট নানা ধরণের চিন্তার ফসল আমার লেখাগুলি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, বিভিন্ন বিষয়ের দিকে যখন তাকাই তখন অনেক কথা, অনেক চিন্তা মনের মাঝে উঁকি মারে। জনজীবনে যে অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা তা উদ্বিগ্ন করে তোলে। …আমার লেখা বঞ্চিত মানুষগুলোর জন্য, যদি তাদের জন্য কিছু করতে পারি। সমাজের অবহেলিত মানুষকে টেনে তোলার চেষ্টা প্রতিনিয়ত করে যাব। নইলে বিবেক শান্তি পাবে না।’
তাঁর ভাবনায় ফুটে ওঠে একজন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান কেমন হবেন তার প্রতিচিত্র। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের সমাজে এই মুহূর্তে বড় প্রয়োজন দেশপ্রেমিক মানুষের। যিনি বিলাস-ব্যসনে কালাতিপাত করবেন না, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যিনি থাকবেন, যিনি দেশ ও জাতিকে দিক-নির্দেশনা দেবেন, দেশকে গড়ে তুলবেন তিনি যদি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাহলে তো সমাজ ও দেশকে কিছুই দিতে পারবেন না।’ … ‘আমাদের প্রয়োজন একজন ত্যাগী, দেশপ্রেমিক দেশসেবক, যিনি প্রয়োজনে মানুষের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবেন। শুধু কথামালার ফুলঝুরি ছুটবে না। বাস্তব জীবনে কাজে কর্মে তার প্রমাণ মিলবে। জানি না কবে এ দেশের মানুষের মুক্তি আসবে। দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসরত ৮৬ ভাগ মানুষকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অনাচার, অবিচার থেকে মুক্ত করতে পারব।’
শেখ হাসিনার প্রথম বই ‘ওরা টোকাই কেন’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাগুলোর মধ্য থেকে ছয়টি প্রবন্ধ নিয়ে বইটি প্রকাশিত হয়। বইটির ভুমিকায় ড. আনিসুজ্জামান লিখেছেন, ‘এসব প্রবন্ধে ব্যক্তিগত কথা আছে, পারিবারিক কথা আছে, দেশের কথা আছে, দশের কথা আছে, সমাজের কথা আছে। নিজের চারপাশটা যেমনভাবে দেখেছেন লেখিকা, তেমনি তা ফুটিয়ে তুলেছেন। যাকে বলা যায় ছক কাটা রচনা-এ বইয়ের প্রবন্ধগুলো তা নয়। এগুলো হচ্ছে স্বতঃস্ফুর্ত লেখা-তাই এক প্রসঙ্গ থেকে তিনি অন্য প্রসঙ্গে চলে গেছেন অনায়াস্ে। এক মানুষের কথা বলতে গিয়ে অন্য মানুষ বা একাধিক মানুষের কথা বলেছেন।’
শেখ হাসিনার লেখায় ঠাঁই পেয়েছে দেশের উন্নয়ন ভাবনা ও দিকনির্দেশনা। তার প্রমাণ মেলে ‘ওরা টোকাই কেন’ গ্রন্থে ‘স্মৃতির দক্ষিণ দুয়ার’ প্রবন্ধে। এতে তিনি লিখেছেন, ‘গ্রামোন্নয়নের জন্য সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থা। প্রতিটি গ্রামে আধুনিক সরঞ্জামসহ হাসপাতাল, স্কুল, মাতৃসদন, কৃষি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, খেলার মাঠ, প্রভৃতি থাকবে। ঘরবাড়ির অবস্থা মজবুত ও পরিচ্ছন্ন হবে। রাস্তাঘাট প্রশস্ত ও পাকা হবে। যানবাহন চলাচলে সুব্যবস্থা করে শহরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর করে তুলতে হবে।’ নির্দ্বিধায় বলা যায়, আজকের দিনে গ্রামীণ অবকাঠামোর যে সার্বিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে তা শেখ হাসিনার ৩৫ বছর আগের ভাবনারই প্রতিফলন।
তাঁর ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’ বইয়ের ভূমিকায় ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, “শেখ মুজিবের যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা বিশ শতকের আশির দশক থেকে লেখালেখি করে যাচ্ছেন। পিতার মতো শেখ হাসিনাও আপাদমস্তক একজন রাজনীতিক। সুতরাং তাঁর লেখার বিষয় কী হতে পারে তা সহজে অনুমেয়। একজন রাজনীতিক হিসেবে শেখ হাসিনা খোলামেলা ও বলিষ্ঠ, লেখালেখিতেও তেমন উম্মুক্ত। শেখ হাসিনা যখন বক্তৃতা করেন, তখন যেমন তিনি নির্ভিকভাবে বক্তব্য প্রকাশ করেন, লেখালেখিতেও তেমনি তিনি রেখেঢেকে নিজেকে প্রকাশ করেন না। কোনো কূটকৌশলের ধার ধারেন না তিনি। কঠিন কথাও তিনি সহজে বলেন এবং লিখে যান। এটা তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ। লেখক হিসেবে শেখ হাসিনা মূলত প্রাবন্ধিক-বিশেষভাবে বলতে গেলে রাজনৈতিক ভাষ্যকার। বিগত তিন দশকে বাংলাদেশের সমকালীন রাজনীতি নিয়ে তাঁর অসংখ্য প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। … শত ব্যস্ততার মাঝেও যে শেখ হাসিনার লেখনী কখনও থেমে থাকেনি তার প্রমাণ আলোচ্য ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’ সংকলনটি।”
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-জনক আমার নেতা আমার’ বইটিতে বঙ্গবন্ধুর শৈশবকাল, ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে আসার পূর্বাপর সময়ের স্মৃতি-অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। এ ছাড়াও এতে ফুটে উঠেছে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা, ছয় দফা ও আগরতলা মামলার ব্যাপারে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট, শেখ হাসিনার স্কুল জীবন এবং তাঁর মা ও ছোট্ট শিশু রাসেলকে নিয়ে স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা। বইটিতে বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়াচীন’সহ কয়েকটি বইয়ে শেখ হাসিনার লেখা ভূমিকা সংকলিত হয়েছে।
‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ’, বইটিতে সোহরোয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের ৭ই মার্চ স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে সামিল হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি নির্দেশ সংবলিত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের বন্দিশালা থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর দেওয়া ভাষণ এবং বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম বৈঠকে দেওয়া ভাষণসহ ২৮টি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ স্থান পেয়েছে।
সমাজে কিছু কিছু লেখক-বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক-সমালোচক সত্য-মিথ্যা বা ভালোমন্দের বিচার করতে গিয়ে দুটো বিষয়কেই একইরকম গুরুত্ব দেন। অধিকারের ক্ষেত্রে একজন ত্যাগী মানুষ ও একজন ভোগবাদী মানুষ কিংবা একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ও একজন স্বাধীনতা বিরোধীর ভূমিকার ভালোমন্দ বিচার না করে উভয়ের একইরকম অধিকার দাবি করেন। অর্থাৎ এসব সমালোচক সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে দ্বিধা করেন এবং দুটোর মধ্যে একটা ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াস পান। ‘সাদা কালো’ বইয়ে মূলত নানান ঘটনার উদাহরণ দিয়ে ভালো-খারাপকে একই পাল্লায় মাপার দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেছেন লেখক শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘দোষী ও নির্দোষকে একসঙ্গে দোষারোপ করলে দোষীরাই উৎসাহিত হয়। এখানে ব্যালান্স করার ব্যর্থ প্রয়াস না করাই উত্তম। এ ছাড়া, বিভিন্ন প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্বাপর পরিবারের সদস্যদের দেশে-বিদেশে কষ্টের জীবন, বিএনপি সরকারের হাতে দলীয় নেতা-কর্মীদের হেনস্তা হওয়া, ধনী-দরিদ্র বৈষম্য এবং অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা দখল অবৈধ ঘোষণা করে আদালতের দেওয়া রায়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।
‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’ গ্রন্থটি মূলত শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময়ে লেখা ১৩ টি প্রবন্ধের সংকলন। এরমধ্যে কয়েকটি বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
২০০১ সালে বিএনপি-জাময়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশ জুড়ে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সংখ্যালঘু সমপ্রদায়সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। প্রতিদিনের সংবাদপত্রের পাতা খুললেই চোখে পড়তো এসব নির্যাতনের ভয়াবহ সচিত্র খবর। ২০০১ ও ২০০২ সালে প্রকাশিত সেসব খবর দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে সংকলিত গ্রন্থ ‘সহে না মানবতার অবমাননা’-যা সমকালীন ইতিহাসের দলিল হিসেবে গণ্য হবে।
পরিশেষে বলা যায়, একজন সফল রাজনীতিবিদ হিসেবে যেমন তেমনি একজন সফল গ্রন্থকার হিসেবেও শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তাঁর গ্রন্থগুলো বাংলাদেশের সমসাময়িক ইতিহাসের ভান্ডারে অনন্য সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হবে। পিআইডি ফিচার
লেখক: সম্পাদক-ইতিহাসের খসড়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণাকর্মী।