হাটহাজারীতে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে জাতীয়তা সনদপত্র দিয়ে পাসপোর্ট তৈরিতে সহযাগিতা করার অভিযোগ উঠেছে মেখলের ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তিনি না জেনে ভুলবশত অপরিচিত ব্যক্তিকে জাতীয়তা সনদপত্র দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
জানা যায়, গত ৯ জুন হাফিজুল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গাকে জাতীয়তা সনদপত্র প্রদান করেন মেখলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী।
উক্ত সনদপত্রে হাফিজুল্লাহ’র পিতার নাম নুরুল আমিন, মায়ের নাম শামসুন নাহার, ঠিকানা খলিল সওদাগর বাড়ি, গ্রাম মাজাফ্ফরপুর, ৩ নম্বর ওয়ার্ড, ডাকঘর রহিমপুর উল্লেখ রয়েছে। খবর নিয়ে জানা গেছে , ওই ঠিকানায় হাফিজুল্লাহ নামের কোন ব্যক্তি নেই। ভুয়া ওই ব্যক্তি রোহিঙ্গা বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী। এদিকে ওই জাতীয়তা সনদপত্র ব্যবহার করে পাসপোর্টও তৈরি করেছেন কথিত হাফিজুল্লাহ। তিনি গত ২৩ জুন পাসপোর্ট ফরম পূরণ করে জমা দেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে একজন চেয়ারম্যান না জেনে কাউকে জাতীয়তা সনদপত্র দেয়া উচিত নয়।
জাতীয়তা সনদপত্র দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মেখলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাফিজুল্লাহ রোহিঙ্গা কিনা আমি জানতাম না। আমার কাছে সনদের জন্য এসেছে, আমি সনদপত্র দিয়েছি। পরে বিষয়টি আমি জেনেছি। এখন এটি তদন্ত করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি খবর পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। বিষয়টি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। যদি বিষয়টি সত্য হয়, তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।