প্রাণ-প্রকৃতিতে ভরপুর হেরিটেজ ঘোষিত চট্টগ্রামে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সংবিধান পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের আইনজীবীরা। সিআরবিতে হাসপাতাল করা হলে এসব জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তারা। সিআরবি রক্ষায় ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেকে গতকাল বৃহস্পতিবার নাগরিক সমাজের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন চট্টগ্রামের আইনজীবী সমাজ। সংহতি সমাবেশে বক্তারা বলেন, সিআরবি প্রাকৃতিক পরিবেশ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত এলাকা হিসেবে সংরক্ষণে সিডিএ ও সরকারের সিদ্ধান্ত, সংবিধানের বিধান। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর, স্মৃতিচিহ্ন সব ধ্বংস ও গুঁড়িয়ে দিয়ে যারা হাসপাতাল করতে চায়, তারা এ দুঃসাহস এদেশের মাটিতে কিভাবে পায়? কিন্তু তাদের চক্রান্ত আমরা সফল হতে দেব না! যারা আজ সিআরবি ধ্বংস করে হাসপাতাল করার পক্ষে নেমেছেন, তারা চট্টগ্রামবাসীর শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবেন। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, জনগণের সংঘটিত আন্দোলনের সামনে সকল মিথ্যাচার, হুমকি, মুনাফালোভী মাফিয়া সিন্ডিকেটের তৎপরতার পরাজয় হবেই। সিআরবিতে হাসপাতাল ও কোনো স্থাপনা নির্মাণের সমস্ত অপচেষ্টা আমরা গুঁড়িয়ে দেব। জনগণের জয় হবেই!
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মাহফুজুর রহমান খান, চবি শিক্ষক হোসাইন কবির, ১৪ দল নেতা বেলায়েত হোসেন, অ্যাড. অনুপম চক্রবর্তী, অ্যাড. বিশ্বজিৎ, অ্যাড. মিলি চৌধুরী, স্বপন মজুমদার, প্রণব চৌধুরী, চৌধুরী জসিম, অ্যাড. আবদুল আল মামুন, অ্যাড. আনোয়ার হোসেন, অ্যাড. রাশেদুল আলম রাশেদ, অ্যাড. রুবেল পাল, অ্যাড. আকরাম হোসেন, অ্যাড. জাফর ইকবাল, অ্যাড. টিপু সুলতান, অ্যাড. হাসান মুরাদ, অ্যাড. এডিএম আরুছ রাসেল, অ্যাড. সরকার আখতারুজ্জামান রুমেল, অ্যাড. আবু নাসের, অ্যাড. রায়হান শাহরিয়ার, অ্যাড. গাজী ইরফান, নারী নেত্রী হাসিনা আকতার টুনু, আফরোজা, দিলরুবা খানম, ফারহানা রবিউল লিজা, অ্যাড. রোকসানা আক্তার, অ্যাড. নিশো আকতার, অ্যাড. কামরুল আজম চৌধুরী টিপু, অ্যাড. কায়সার আহমেদ, হুমায়ুন কবির মাসুদ, অ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন জিকো, ছাত্রনেতা মাহামুদুর করিম, আনোয়ার হোসেন পলাশ, সাজ্জাদ হোসেন জাফর, মাইমুন উদ্দিন মামুন, অ্যাড. অনিবার্ণ দত্ত, অ্যাড. জায়দিদ, অ্যাড. কৌশিক, অ্যাড. এস গণি ফরহাদ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।