হাতি-ঘোড়া না মেরে মাঠে নামেন: জাফরুল্লাহ

| বৃহস্পতিবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

সরকার হঠানোর আন্দোলনে হাতি-ঘোড়া মারার কথা না বলে বিএনপি নেতাদের মাঠে নামতে বললেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল বুধবার ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, আপনাদের এই ম্যান ম্যান কথা শুনতে কেউ আসবে না। এটা করবেন, ওটা করবেন, হাতি ঘোড় মারবেন এসব কথা বাদ দেন। মাঠে নামেন। খবর বিডিনিউজের।
বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বঙ্গবন্ধুর কথা থেকে ধার করেই জাফরুল্লাহ বলেন, এই ভোট ডাকাতদের সরাতে হলে ওই যে শেখ সাহেবের কথা লাঠিসোঁটা যা আাছে তা নিয়া নাইমা পড়। দেখেন না তারা কোথায় পালায়! যারা সরকার পতনের আন্দোলনের কথা বলে, তাদের সবাইকে ভবিষ্যৎ নিয়ে জনগণের কাছে অঙ্গীকার করারও আহ্বান জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেন, ভোট ডাকাত সরকারকে সরানো পর আপনারা কী কী পরিবর্তন আনবেন তা জনগণকে বলতে হবে। আপনাদের এসব মিষ্টি কথা তারা শুনতে চায় না। বলতে হবে এই এই পরিবর্তন আনব, যাকে ইচ্ছা তাকে জনগণ ভোট দিতে পারবে। আপনারা খেয়াল করে দেখুন, মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, একে ফজলুল হক তারা যে যুক্তফ্রন্ট করেছিলেন, ২১ দফা হয়েছিল, তাতে সরকারের পতন হয়েছিল। আজকেও আমাদেরকে সকল রাজনৈতিক দলকে পরিচ্ছন্নভাবে কয়েকটা বিষয়ে একমত হতে হবে। আমার মতে, পাঁচ দফায় আসতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী দলীয় সভায় বলেছেন, তোমরা নির্বাচনের জন্য তৈরি হও। কখন, সেটা বলেননি। আপনারা বলেন, আমরা নির্বাচন চাই, এখন চাই, তবে তোমার সাথে নির্বাচন নয়। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়, সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এই বিষয়ে এক হতে হবে। আমরা একটা সরকার চাই, যারা এদেশের একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারিন্ট দিতে পারবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আজকে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, রাজনীতিবিদরা কথা বলতে পারছে না। দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এই দেশকে বাঁচাতে হলে, এদেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে এখন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নাই।
এনডিপির চেয়ারম্যান কেএম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বক্তব্য দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাছের চাষ ও কর্ম সংস্থান
পরবর্তী নিবন্ধপ্রধান শিক্ষকের অবহেলায় শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত