জনতা ব্যাংকের ডিজিএমকে শো-কজ

ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ না নেয়া

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ

১ কোটি ২ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৩ টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত একটি জারি মামলায় জনতা ব্যাংকের লালদীঘি শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপককে শো-কজ করেছেন অর্থঋণ আদালত। এতে কেন এ জারি মামলাটি খারিজ করা হবে না এবং কর্তব্যে অবহেলার জন্য ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে শো-কজের জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
জনতা ব্যাংকের উক্ত মামলায় উচ্চ আদালত কর্তৃক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর দীর্ঘ ১১ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে।তবুও আসামিদের বিরুদ্ধে খেলাপি ঋণ আদায়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গতকাল অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান উক্ত আদেশ দেন। অর্থঋণ আদালতের পেশকার মো. রেজাউল করিম আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদেশে বলা হয়, ব্যাংকের নিস্ক্রিয়তায় আদালতে দীর্ঘদিন ধরে অনিষ্পন্ন জারি মামলার জট তৈরি হয়েছে। আদালতের মূল্যবান সময়ও নষ্ট হচ্ছে।
অন্যদিকে ট্রাস্টি অব পাবলিক মানি হিসেবে ব্যাংকের এমন নির্লিপ্ততায় বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ অনাদায়ী হয়ে পড়েছে। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে ব্যাংকিং ব্যবস্থা এবং জাতীয় অর্থনীতির ওপর। গ্রাহকদের মধ্যে খেলাপি হওয়ার সংস্কৃতি ও মানসিকতা বদ্ধমূল হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংক লালদীঘি শাখা ১৯৯২ সালের ১৯ এপ্রিল ১ কোটি ২ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি অর্থঋণ মামলা হয়। মামলায় ব্যাংকের পক্ষে রায়ও ঘোষণা হয়। পরবর্তীতে খেলাপি ঋণ আদায়ে একটি জারি মামলা দায়ের (মামলা নম্বর ৩০৪/২০০৩) করা হয়। মামলায় ২০০৫ সালের ১ জুন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। একপর্যায়ে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করেন আসামিরা। ২০১০ সালের ১০ মার্চ রায়ে ইস্যুকৃত রুল খারিজ করে দেন উচ্চ আদালত ও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন। এরপর দীর্ঘ ১১ বছর অতিক্রম হলেও ১৮টি ধার্য তারিখে ব্যাংক কর্র্তৃপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে খেলাপী ঋণ আদায়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমা ও শিশু হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ইস্টার্ন ব্যাংকের ৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান
পরবর্তী নিবন্ধসিএন্ডএফ এজেন্ট সম্মিলিত ঐক্যজোট পরিষদের সভা