চট্টগ্রামে ফাইজারের টিকা আসার সম্ভাবনা এবং এ টিকা সংরক্ষণে নিম্ন তাপমাত্রার দুটি ফ্রিজার বরাদ্দ পাওয়ার তথ্য জানা গেছে আগেই। এবার ফাইজারের টিকাদানে চূড়ান্ত হল কেন্দ্রও। চট্টগ্রামের কেবল দুটি কেন্দ্রে এ টিকা প্রয়োগ করা হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি গতকাল আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রামে ফাইজারের টিকাদানে দুটি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও বন্দর হাসপাতাল কেন্দ্রে এ টিকা দেয়া হবে।
এদিকে, ফাইজারের টিকাদানে জোর প্রস্তুতি চলছে চট্টগ্রামে। বৃহস্পতিবার (আজ) টিকাদানের সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগ। আজ সকালে চসিক জেনারেল হাসপাতালের নিচতলায় এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে বলে নিশ্চিত করেছেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আজকের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ইপিআই টেকনিশিয়ানসহ ট্রেইনারদের (প্রশিক্ষক) প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পরবর্তীতে এরাই (ট্রেইনার) টিকাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এর আগে চসিকের বেশ কয়জন চিকিৎসক ঢাকায় গিয়ে এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। ঢাকা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা চিকিৎসকরাই বৃহস্পতিবার (আজ) প্রশিক্ষণ দেবেন। ইপিআই টেকনিশিয়ানসহ প্রায় ২০ জনকে বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে তারাই টিকাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। ফাইজারের টিকা আসার সাথে সাথে এর কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানান ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, এতদিন অঙফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা, সিনোফার্ম ও মডার্নার টিকা পেলেও ফাইজারের টিকা পায়নি চট্টগ্রাম। সংরক্ষণ সুবিধার অপ্রতুলতার কারণে রাজধানীর বাইরে অন্য কোথাও এ টিকা সরবরাহ করা হয়নি। কেবল রাজধানী ঢাকাতেই ফাইজারের এই টিকার প্রয়োগ চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন- ফাইজারের টিকা মাইনাস ৬০-৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। ঢাকা ছাড়া এ তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণের সুবিধা দেশের অন্য কোন শহরে নেই। যার কারণে রাজধানীর বাইরে কোথাও ফাইজারের টিকা সরবরাহ ও প্রয়োগ করা হয়নি।
এদিকে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ৬০ লাখ ফাইজারের টিকা দেশে আসার কথা জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইজারের এসব টিকা রাজধানীতে সীমাবদ্ধ না রেখে চট্টগ্রামেও সরবরাহের চিন্তা-ভাবনার কথা জানায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর।