আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘লিটারেসি ফর হিউম্যান-সেন্টারড রিকভারি : ন্যারোইং দ্য ডিজিটাল ডিভাইড’। প্রতিবারের মতো এবারও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ব্যবস্থাপনায় দেশব্যাপী আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবসটি পালন করা হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। এবারের দিবসের অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে উদ্বোধনী ও আলোচনা অনুষ্ঠান, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, গোলটেবিল আলোচনা ও টেলিভিশনের টকশো। এছাড়া প্রতিটি জেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি নির্ধারণ করা হয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা এবং বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।
সরকারি হিসেবে দেশে প্রতি বছরই বাড়ছে সাক্ষরতার হার। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের চেয়ে এ হার আরও প্রায় ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ।