চারিত্রিক সনদপত্র ও চাকরিক্ষেত্রে এর ব্যবহার কতটা যুক্তিযুক্ত

| সোমবার , ২৬ জুলাই, ২০২১ at ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ

সরকারি চাকরিতে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত চারিত্রিক সনদপত্র দিতে হয়। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত চারিত্রিক সনদপত্র দিয়ে নতুন জনবল নিয়োগ দেয়া হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। এই ছাড়াও সরকারি চাকরিতে আবেদনের সময় প্রার্থী কাগজপত্র সরকারি কর্মকর্তার সীল বানিয়ে নিজে স্বাক্ষর করে কাগজপত্র জমা দেয়। ইহা অপরাধের শামিল। নতুন চাকরিতে যোগদানের সময় দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিজের চারিত্রিক সনদ নিজে দেয় কিংবা দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত সনদে চাকরিতে যোগদান করে, সেই রাষ্ট্রের বোঝা ছাড়া কিছু নয়। তাই রাষ্টের উচিত ভুয়া চারিত্রিক সনদের প্রথা বিলুপ্ত করা বা সরকারি চাকরিজীবীদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী সচরিত্রবান কর্মকর্তাকে চারিত্রিক সনদের দায়িত্ব দিয়ে চরিত্রবান লোক নিয়োগ করে রাষ্ট্রের সেবা করার সুযোগ দেয়া উচিত। তাহলে জাতি দুর্নীতির করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পাবে। কারণ ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে- Money is lost, nothing is lost, Health is lost, something is lost and character is lost, everything is lost.

মোহাম্মদ রবিউল হক, সিনিয়র শিক্ষক, মহানগর মীর সিরাজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়।
সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাহিত্য সমালোচক মোহিতলাল মজুমদার
পরবর্তী নিবন্ধকরোনায় লোকজ সংস্কৃতি যেন হারিয়ে না যাই