এখনও জমেনি পশুর হাট

ভিড় বাড়লেও দাম পরখ করছেন ক্রেতারা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৪ জুলাই, ২০২১ at ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

দ্বিতীয় দিনেও নগরে কোরবানি পশুর হাটগুলো জমে ওঠেনি। হয়নি কাঙ্ক্ষিত বেচা-বিক্রি। অবশ্য প্রথমদিনের চেয়ে গতকাল ক্রেতার উপস্থিতি ছিল বেশি। রীতিমত ভিড় ছিল পশুর হাটে। তবে কেনার চেয়ে গরুর দামের ধারণা নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন বেশিরভাগ কোরবানিদাতা। এতে আবার অসন্তুষ্টি ছিল না হাটের ইজারাদার ও গরু বেপারিদের। তারা বলছেন, সাধারণত কোরবানির দুয়েকদিন আগেই বিক্রি বাড়ে নগরের বাজারগুলোতে। কোরবান পর্যন্ত গরু রাখার জায়গার সংকট ও দেখভালের ঝামেলা এড়াতে এক-দুই দিন আগে গরু কিনেন নগরবাসী। তাই প্রথম কয়েকদিন বিক্রি না বাড়লেও হতাশ নন তারা।
নগরে এবার সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় অনুমোদিত পশুর হাট বসেছে ছয়টি। গত সোমবার থেকে হাটগুলোতে বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে ২১ জুলাই পর্যন্ত। হাটগুলো হচ্ছে- সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট, কর্ণফুলী গরু বাজার (নুর নগর হাউজিং এস্টেট), সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন বাজার এবং ৪১নং ওয়ার্ডস্থ বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠ ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার।
গতকাল বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গছে, স্থানীয়ভাবে হৃষ্টপুষ্ট প্রচুর গরু নিয়ে এসেছে বেপারিরা। এছাড়া কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, নাটোরসহ অন্যান্য এলাকা থেকে গরু এনেছেন তারা। মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশন নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত ছিল বাজারে। বহু ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে ছিল না মাস্ক। বিষয়টি নিয়ে মনিটরিংও করছে না কেউ। তবে বিবিরহাট বাজারের মুখে করোনা সুরক্ষা বুথ বসানো হয়েছে। সাগরিকা পশুর হাটে ইজারাদারের পক্ষে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত বেপারিদের মাস্ক বিতরণ করতে দেখা গেছে।
গতকাল বিকেলে বিবিরহাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-দর্শনাথীর ভিড়। তবে গরুর সংখ্যা কম ছিল। ইজারাদার ও বেপারিরা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে রওয়ানা হয়েছে গরুবাহী ট্রাক। আজ-কালের মধ্যে এসে পৌঁঁছবে সেগুলো। তবে বাজারে প্রচুর ছাগল দেখা গেছে। বিক্রিও ছিল বেশি।

বিবিরহাট বাজারে শহীদ নামে এক বিক্রেতা সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার একটি গরুর দাম হাঁকান এক লাখ ২০ হাজার টাকা। গরুটির ওজন ৪ মণ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ক্রেতারা ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় গরুটি কিনতে আগ্রহ দেখান। আরেকটি গরুর দাম চাওয়া হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার টাকা। ক্রেতারা ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধে আগ্রহ দেখান।
মনির নামে এক ক্রেতা জানান, এ বছর গরু তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে। দামও বাড়তি। গত বছর ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় যে ধরনের গরু পাওয়া গেছে এবার প্রায় একই গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে লাখ টাকার উপর। এছাড়া সময় থাকায় দুয়েকদিনের মধ্যে গরু এসে পৌঁছবে বলেও জানান কর্ণফুলী বাজারের বেপারি রহিম। তিনি বলেন, চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে আমাদের ৮ গাড়ি গরু এসে গেছে। আরো ৭ গাড়ি পথে আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপান্তা আলুভর্তায় অস্ট্রেলিয়া জয়
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় ওভারটেক করতে গিয়ে খাদে, আহত ১৫