মসলার বাজারে স্বস্তি

মজুদ পর্যাপ্ত, বাড়েনি দাম

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৩ জুলাই, ২০২১ at ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

কোরবানি ঈদের বাকি আছে আর এক সপ্তাহ। সাধারণত কোরবানির সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় মসলার বাজার। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম ঘটছে। গরম মসলাসহ সব ধরনের মসলার বাজারই ঠান্ডা। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাকালীন লকডাউনে বিয়ে, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান কমে যাওয়ার মসলার বাজারের চাহিদা কম ছিল। এছাড়া পর্যাপ্ত আমদানি হয়েছে, ব্যবসায়ীদের গুদামে মজুদও ছিল। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর কমে যাওয়ায় গত ছয় মাস ধরে বাজার নিম্নমুখী।
গতকাল চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায়। গত বছরের এই সময়ে সেই এলাচের দাম ছিল ৩ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। গোল মরিচ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। গত বছর ছিল ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা। ভিয়েতনামের দারচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা থেকে ৩৭৫ টাকা। গত বছর বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকায়। লবঙ্গ বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৪০ টাকা, গত বছর বিক্রি হয়েছে এক হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। অন্যদিকে সাধারণ মসলার মধ্যে প্রতি কেজি ধনিয়া বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা, দেশি হলুদ ৯০ টাকা থেকে ৯৫ টাকা, দেশি মরিচ ১০০ টাকা থেকে ১০৫ টাকা এবং ভারতীয় মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা।
খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার জানান, আমাদের দেশে প্রায় সব ধরণের মসলা আমদানি করতে হয়। স্বাভাবিকভাবে কোরবানির সময় মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। তাই অনেক সময় বাজারে মসলার সরবরাহ সংকট দেখা দেয়। তবে এ বছরের চিত্র ভিন্ন। করোনার প্রকোপ বাড়ার কারণে একে তো অনুষ্ঠান বন্ধ, তার ওপর আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম কমে গেছে। তাছাড়া কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে আমদানিকারকরা প্রচুর পরিমাণে মসলা আমদানি করেছেন। ফলে বর্তমানে পাইকারি বাজারে পর্যাপ্ত মসলার মজুদ রয়েছে। এরফলে বাজারে মসলার দাম কম।
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের মসলা আমদানিকারক এবি ট্রেডার্সের অমর কান্তি দাশ দৈনিক আজাদীকে বলেন, প্রায় এক বছর ধরে মসলার বাজার ঠান্ডা। বাজার চাহিদা কমে যাওয়া এবং লকডাউনের কারণে মসলা বেচাবিক্রি মন্দা ছিল। তাই কোরবানির সময়েও মসলার বাজার বাড়েনি।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, প্রতি বছর কোরবানের দুই সপ্তাহ আগে থেকে মসলার বেচা বিক্রি বেড়ে যায়। তবে এ বছর এর ব্যতিক্রম ঘটছে। দাম বাড়েনি, সব ধরণের মসলার দাম কম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনায় মৃত্যু এখন কেন বাড়ছে
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬