টার্কি এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে

অর্ক রায় সেতু | বুধবার , ৭ জুলাই, ২০২১ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

তুর্কি বা টার্কি মোরগ বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। মানুষ খাবারের একটা অংশ এখন টার্কি মোরগ থেকে সংগ্রহ করছেন। পুরুষ টার্কি আকারে বড় হওয়ায় পরিমাণেও অনেক বেশি হয়। গড়ে হিসেব করলে এদের ওজন প্রায় দশ কেজি হয়ে থাকে। কিন্তু ওজনে ব্যতিক্রম স্ত্রী টার্কি। পুরুষ টার্কির তুলনায় অর্ধেক ওজন এদের। গ্রাম-গঞ্জে, শহরে, বিদেশি প্রজাতির এই মোরগ লালন পালন করতে দেখা যায় আজকাল। কিন্তু তুর্কি মোরগের মূল বিস্তৃতি আমাদের দেশে নয়। আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ায়এরা বসবাস করে। দেখতে সুন্দর হওয়ায় খাবারের পাশাপাশি এদের সংগ্রহ করে রাখছে মানুষ। এরা দেখতে অনেকটা উট পাখির মতো। আত্মরক্ষার জন্য সামান্য উড়তে পারে টার্কি। এদের মাথা দেখে সহজে চিনে নেওয়া যায়। মাথা উজ্জ্বল লাল রঙের। মাথায় কোনো প্রকার লোম দেখা যায়না। টার্কি মোরগ খাবার হিসেবে ফসলের বীজ, পোকামাকড়, ব্যাঙ, টিকটিকি গ্রহণ করে। মাংসাশী প্রাণী হলেও বাংলাদেশে গৃহের সাধারণ খাবার খেতে অভ্যস্ত এরা। বিশেষ করে চাল, ঘাস, ফল, মুরগীর খাবার ইত্যাদি। এদের দৈনিক খাবারের পরিমাণ প্রায় ১৫০-৩০০ গ্রাম। টার্কির ডিম দেখতে বাদামি রঙের। স্ত্রী টার্কি ৮-১৫ টি ডিম পাড়ে। ২৮ দিনের মধ্যে সে ডিম ফুটে বাচ্চা বাইরে বেরিয়ে আসে। এই বাচ্চা গুলো বয়সপ্রাপ্ত হতে ২১ থেকে ২২ সপ্তাহ সময় নেই। টার্কির বৈজ্ঞানিক নাম: গবষবধমৎরং মধষষড়ঢ়ধাড়. ইংরেজিতে এদের ঞঁৎশবু ভড়ষি বলে ডাকা হয়। দশ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে টার্কি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবর্ষা বন্দনা
পরবর্তী নিবন্ধসেই দিন