কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাঁশখালীর গরু, মহিষ ও ছাগল পালনকারীদের মাঝে বিরাজ করছে অন্যরকম আমেজ। সারা দেশের ন্যায় বাঁশখালীতেও গড়ে উঠেছে অনেকগুলো গবাদিপশুর খামার। সূত্র জানিয়েছে, বাঁশখালীর ১৬৯টি খামারে রয়েছে ৩৪,৮৫০ গরু, ষাঁড়, ছাগল মহিষের মজুদ। কয়েকবছর আগে ভারত বাংলাদেশে গরু রপ্তানি বন্ধ করে দিলেও দেশে কোরবানি পশুর সংকট পড়েনি। দেশের প্রাণীসম্পদ সেক্টর উল্টো স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। দেশে খামারের সংখ্যা বেড়েছে। পুঁইছড়ির নাপোড়া গ্রামের একটি খামারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবারো ১৫টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে সবকিছুকে ছাড়িয়ে বর্তমানে আলোচনায় রয়েছে ‘সম্রাট’ নামের পাকিস্তানি জাতের একটি ষাঁড়। লাল এবং ব্যতিক্রমী গড়নের গরুটি দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসছেন। বাঁশখালী তথা বাংলাদেশে এ প্রজাতির গরু মোটামুটি বিরল। গরুটি পাকিস্তানি নুকরা জাতের ষাঁড়ের সাথে দেশি গাভির ক্রস বলে ধারণা করা হচ্ছে। নুকরা হচ্ছে পাকিস্তানের খুবই উন্নত প্রজাতির একটি গরুর জাত। এ ব্যাপারে খামারটির পরিচালক আরিফুর রহমান সুজন বলেন,সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে আমরা গরু মোটাতাজা করে থাকি, আমাদের ‘সম্রাট’ এবারের বাজারের অন্যতম আকর্ষণ বলে দাবি করেন তিনি। আনুমানিক ৭০০ থেকে ৭৫০ কেজি ওজনের গরুটির দাম হাঁকিয়েছেন ৭ লাখ টাকা। খামারটিতে ‘সম্রাট’ ছাড়া আরো ১৪টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে। ভাল এবং উপযুক্ত দাম পেলে গরুগুলো খামারেই বিক্রি হবে বলে জানান তিনি। এ গরুগুলোকে প্রতিদিন নিজের জমিতে চাষকৃত নেপিয়ার ঘাস, পাংচুর ঘাস, দানাদার খাদ্য ভুষি, ভুট্টা, সয়াবিন এবং শাক সবজি খেতে দেওয়া হয়।
বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সমরঞ্জন বড়ুয়া বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাঁশখালীর ১৬৯টি খামারে ৩৪,৮৫০ গরু, ষাঁড়, ছাগল মহিষ মজুদ রয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি বাড়িতে ২/৩ টি করে গৃহপালিত গরু ছাগল আসন্ন কোরবানির ঈদে বেচাবিক্রি হবে।