৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড

গত অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ২৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৯ জুন, ২০২১ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের তিনদিন বাকি থাকতেই প্রথমবারের মতো ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের মাইলফলক অর্জন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। গত অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। করোনার মধ্যেই এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি চট্টগ্রাম কাস্টমসের ইতিহাসের বিরাট সফলতা বলছেন কাস্টমস কর্তারা। যদিও চলতি অর্থবছরের সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা পিছিয়ে আছে কাস্টমস। যেহেতু অর্থবছর শেষ হতে আরো তিনদিন বাকি আছে তাই সামগ্রিক আদায় বাড়লেও ঘাটতির পরিমাণও কমে আসবে।
জানা গেছে, গত অর্থবছরের গত ২৭ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪০ হাজার ৮৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের এই সময়ের মধ্যে ৯ হাজার ৯৭৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা টাকা বেড়ে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫০ হাজার ৮০৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছর রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৪ হাজার ৩০৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সে হিসেবে জুলাই থেকে মে পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫৯ হাজার ২৬১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে এই সময়ে আদায় হয়েছে ৪৪ হাজার ৭৫৬ কোটি ৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রথম ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ হাজার ৫০৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে। কাস্টমস সূত্রে আরো জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪ হাজার ৮৯৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা, আগস্টে ৫ হাজার ২০৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৪ হাজার ৩৭৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, অক্টোবরে ৫ হাজার ২৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, নভেম্বরে ৫ হাজার ৯৩২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং ডিসেম্বরে ৫ হাজার ৩৩৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। এছাড়া জানুয়ারিতে ৫ হাজার ৬০৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪ হাজার ৮৫৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা, মার্চে ৫ হাজার ৪৬১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, এপ্রিলে ৬ হাজার ২১৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, মে মাসে ৬ হাজার ৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং জুনে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৪২ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করাটা সোজা কথা নয়। আমরা রাজস্ব ফাঁকি রোধে পুরো বছর তৎপর ছিলাম। এছাড়া সঠিক এইচএস কোডে পণ্য শুল্কায়ন করার কারণেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাত লাখ টাকার ‘সম্রাট’
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা