হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল-২০২১ আজ পাস হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সংসদে এই বিল পাস হয়। এতে হজ এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানার সাজাও রয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, কোনো হজ বা ওমরা এজেন্সি সৌদি আরব গিয়ে অপরাধ করলে বাংলাদেশে ওই অপরাধের বিচার করা হবে। এছাড়া হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার এ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি গঠন করার কথাও বিলে উল্লেখ রয়েছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল-২০২১’ গতকাল সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী কণ্ঠভোটে তাদের প্রস্তাব নিষ্পত্তি করে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস করেন।
বিলে বলা হয়, হজের চুক্তি এখানে হওয়ার পরে কেউ সৌদিতে গিয়ে ঠকালে তবে ওই অপরাধ বাংলাদেশে হয়েছে বলে গণ্য করে এই আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে। নিবন্ধন পেতে হলে হজ এজেন্সিকে তিন বছর এবং ওমরাহ এজেন্সিকে দুই বছরের ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিলে হজ এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। আর ওমরা এজেন্সি অনিয়ম করলে তারা নিবন্ধন হারানোর সঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়বে। এছাড়া জামানত বাজেয়াপ্ত, নিবন্ধন স্থগিত, সতর্কীকরণ ও তিরস্কারের শাস্তি রয়েছে। কোনো এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হলে সেই এজেন্সির অংশীদার বা স্বত্বাধিকারীরা পরে কখনও হজ বা ওমরা এজেন্সির নিবন্ধন পাবেন না। এমনকি অন্য কোনো এজেন্সির কাজেও সম্পৃক্ত হতে পারবেন না তারা। আর হজ এজেন্সিগুলো সত্ত্ব পরিবর্তন করতে চাইলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। বিল সম্পর্কে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কোনো সংবিধিবদ্ধ আইন নেই। নির্বাহী আদেশ, নীতিমালা, পরিপত্র ইত্যাদি দ্বারা এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সংবিধিবদ্ধ আইন ও বিধি-বিধানের প্রয়োজন দীর্ঘদিন যাবত অনুভূত হচ্ছে। তাই এই বিল তৈরি ও পাস করা হলো।
