মীরসরাই উপজেলার ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে পিতার বিরুদ্ধে নিজের ষোড়ষী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টায় অভিযুক্ত পিতাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে। নিজের কন্যার সাথে পিতার এমন পৈশাচিক আচরণে হতভম্ব এলাকাবাসী। উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার সোনাপাহাড় গ্রামের মস্তাননগর স্টেশন সংলগ্ন গ্রামে গত রোববার রাতে এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটে। প্রথমে এলাকায় শালিসের মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হলেও পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
মীরসরাই সার্কেল এএসপি লাবিব আব্দুল্লাহ ও জোরারগঞ্জ থানার ওসি নুর হোসাইন মামুন জানান, ভিকটিমের জবানবন্দি ও পিতার স্বীকারোক্তি মতে, গত রোববার সকালে ভিকটিমের মা নানার বাড়িতে গেলে রাতে পিতা নুরউদ্দিন মিঠু (৫০) ঘরে আসার সময় মেয়ের জন্য একটা জুস আনে। জুস খেয়ে মেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু সকালে উঠে সে নিজেকে অস্বাভাবিক অবস্থায় দেখে বিষয়টি বুঝতে পারে। পরে পাশের ঘরের এক নারী ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা দেখে তার মাকে খবর দিলে তিনি বাড়িতে আসেন। পরে সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুল হক ও আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক বিষয়টি নিয়ে সালিশ ডাকেন। তবে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় তারা কোনো সমাধান ছাড়াই সালিশ শেষ করেন। এরই মধ্যে খবর পেয়ে মীরসরাইয়ের সহকারী পুলিশ সুপার লাবিব আবদুল্লাহ ও জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নূর হোসেন মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন। তবে অভিযুক্ত পিতা জঙ্গলে গা ঢাকা দিলেও গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টায় তাকে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করে। পুলিশ জানায়, পাষণ্ড পিতা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছে। গতকাল তাকে আটকের পর দুপুরের মধ্যে আদালতে এবং ভিকটিমকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।