সদ্য ঘোষিত বাজেটে নির্মাণ সামগ্রীতে শুল্ক ছাড় দিয়ে জীবন ও জীবিকার বাস্তবতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলে এটিকে একটি জনকল্যাণমুখী বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানান। রিহ্যাবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনার মতো ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে ৬ লক্ষ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার সুচিন্তিত সময় উপযোগী বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সরকার আবাসন খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী বিশেষ করে রড, সিমেন্ট, টাইলসসহ বিভিন্ন কাঁচামালে যে বিশেষ শুল্ক ছাড় দিয়েছে তার জন্য আমরা অভিনন্দন জানাই। একই সাথে সরকার ফ্ল্যাট এবং এ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের যে সুবিধা অব্যাহত রেখেছে তা এই খাতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। সরকারি হিসাব মতে, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা অর্থনীতির মূল্য স্রোত ধারায় এসেছে, যেখান থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। যা কোভিড পরিস্থিতিতে অর্থনীতির প্রাণচাঞ্চল্য ফেরাতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, এই নীতি অব্যাহত থাকলে আরো বহুগুণ অর্থ, অর্থনীতির মূলধারায় যোগ হবে যা প্রকারান্তে রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট এবং বার্ষিক টার্নওভারে কর হার কমানো হয়েছে যা খুবই ইতিবাচক। এ বাজেট যেমনটা ব্যবসাবান্ধব তেমনি বাস্তবোচিত এবং জনবান্ধব বলেও রিহ্যাবের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের নির্মাণ খাতে প্রায় ৫০ লক্ষ জনশক্তি জড়িত। রিয়েল এস্টেট খাতকে ঘিরে গড়ে ওঠা লিংকেজ শিল্পই দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। প্রতি বছর বিভিন্ন খাত উপখাত মিলে এই রিয়েল এস্টেট সেক্টর থেকে সরকারের কোষাগারে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে জমা হয় প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার রাজস্ব। এজন্য এই খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। দেশবাসী যাতে ভাড়ার টাকায় মাথা গোঁজার একটা ঠিকানা খুঁজে পায় সেজন্য স্বল্প সুদের দীর্ঘমেয়াদী একটি তহবিল গঠনেরও প্রস্তাব করে রিহ্যাব। একই সাথে এই খাতে নিবন্ধন ব্যয় আরো কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।