দেশে ট্রান্সফ্যাটমুক্ত খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে আজ (সোমবার) পালিত হবে বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও গ্রহণ স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে জনগণ, অর্থনীতি তথা গোটা পৃথিবীর জন্য সুফল বয়ে আনে।’ দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সূত্র বলেছে, শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট খাদ্যের একটি বিষাক্ত উপাদান। এই উপাদান মানুষের শরীরে ভয়াবহ রকমের ক্ষতি করে। এটি মানুষের হৃদরোগজনিত অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল থেকে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
এই ট্রান্সফ্যাট মুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে ‘খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১’ তৈরি করলেও সেটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। এটি চূড়ান্ত করার মাধ্যমে দেশের মানুষকে নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো দাবি করেছে।
বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) এর নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তুলতে নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই। খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলের মাধ্যমে অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো সম্ভব এবং যা একইসাথে সরকারের জন্য একটি ব্যয়সাশ্রয়ী পদক্ষেপ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে খাদ্য শৃঙ্খল থেকে ট্রান্সফ্যাট নির্মূল করে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।’ বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রবিধানমালা চূড়ান্তকরণ ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে প্রজ্ঞা।
