ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার, সওদাগর,ব্যবসায়ী হওয়া অত্যন্ত সহজ, কিন্তু একজন আদর্শ ত্যাগী কর্মীবান্ধব রাজনীতিক হওয়া অত্যন্ত কঠিন, এ ধারায় কঠোর সাধনার তিতিক্ষার সম্মুখীন হতে হয়, রাজনীতির এ দীর্ঘ পথচলায় অনেক অনেক নেতাকে দেখেছি তারা কর্মীকে উচ্ছিষ্ট মনে করে কর্মীর বিপদে আপদে সৌজন্যবোধটুকুও দেখান না, যোগাযোগের ক্ষেত্রে মুঠোফোনটা বন্ধ করে রাখেন, দলের দুর্দিনে মাঠ তো দূরের কথা আদর্শ বিকিয়ে দিয়ে নিজে বিক্রি হয়ে যান, আবার ঠিকই দলের সুদিনে তাদের স্থান সামনের সারিতে, এ কৃত কর্মের জন্য তারা লজ্জাটুকু সংবরণ করেননা, তদুপরি এ জাতীয় কর্মকাণ্ড তাদের ধারাই সম্ভব বটে! আর তারা আছে বলেই আমরা জড় ও জীবের মতো রাজনীতির আদর্শ অনাদর্শের পার্থক্য বুঝতে পারি, তবে ত্যাগ, আদর্শ, নীতির লক্ষ্যে আমি অবিচল এবং অত্যন্ত গর্বিত রাজনীতির প্রত্যক্ষ মাঠের একজন সচেতন কর্মী হয়ে, আমার আদর্শ, স্বাস্থ্যনীতির গঠনমূলক রাজনীতিতে আমি দেশ দশের সমাজের সকল অসঙ্গতি পাল্টে দিতে চাই, জানি সেটি বাস্তবায়নে খুব দুরুহ, তারপরও আমি তা করে দেখাতে চাই, প্রজন্মের উদাহরণ হিসেবে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে চাই, অন্তত আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমার দিকে আঙুল তাক করে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে বলবেনা কুৎসিৎ রাজনীতির পথপরিক্রমা সৃষ্টিতে আমি দায়ী? সবচে বড় যে আদালত মনুষত্বের বিবেকের কাছে আমি সবসময়ই জয়ী হয়ে থাকবোই। জয় হবেই, আলো আসবেই, হয়তো এ ধারায় সংখ্যায় আমি নগণ্য তবে একদিন ঠিকই প্রজন্ম করবে আমায় অগ্রগণ্য।