লড়ছে তাবৎ দুনিয়া! আহা, পৃথিবী জুড়ে কি এক অস্বস্তি আর উৎকণ্ঠা! বিপর্যস্ত বিশ্ব নেতারা! কাটছে নির্ঘুম রাত!এই বিশ্বযুদ্ধে কোনো অস্ত্রের ঝনঝনানি কিংবা পারমাণবিক বোমা কিছুই কাজে আসছে না। জানি না হয়ত তাঁরা ভাবছেন! কিসের প্রতিযোগিতা দিয়েছিলেন এত দিন?এমন দিন আসবে! কোনোদিন ভেবেছেন কি তারা? চলছে রাতদিন গবেষণা। এই বিশ্বযুদ্ধে প্রতিটি রাষ্ট্র চাইছেন সহনশীল হতে। আর মহানুভবতা ছড়াতে। কেউ মাস্ক, কিংবা ভ্যাকসিন, যন্ত্রপাতি, অথবা অক্সিজেন সরবরাহ করে। এভাবে এগিয়ে এসে যদি বিশ্বকে বাঁচাতে পারি। পৃথিবীর বুকে শান্তি সৃষ্টি করার এই তো সুযোগ দিয়েছেন মহান আল্লাহ। হাইড্রোজেন বোমা, আগ্রাসন নীতি নয়। নয় হানাহানি। চাইনা আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বিগ্রহ। ভালোবাসা দিয়ে বিশ্ব করি জয়। জেগে উঠি বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধে। কি অস্থির আর অদ্ভুত চঞ্চল জাতি আমরা? ফেসবুকে ছবি দেবার জন্য এই ঈদপোশাকের কি মূল্য? যাঁরা শপিং করছেন তাঁদের আলমিরা খুললেই অন্তত একটা হলেও অনেক নতুন কাপড় মিলবে। সেটা দিয়ে ঈদ হয়না? তা আপনার কাছে পুরোনো মনে হলে অন্যকে দিন। যার ঘরে ঈদ হারিয়ে গেছে কবে! করোনার প্রকোপে। আপনজন আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব ভালো থাকলে, সুস্থ অবস্থায় বেঁচে থাকলেই তবেই তো আসল ঈদ। এতো টুকু চিত্র নিজের আশেপাশেই তো দেখছি। কত মানুষের চাকুরী নেই! বেতন অর্ধেক। ভাতা পাবেন না।
তাদের মাঝে বিলাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় কারো ঈদ নিয়ে মাথা ব্যথা ছিল বলে মনে হয় না! বেচেঁ থাকার আতঙ্ক বিরাজ করছিল। আজকে এই যুদ্ধতো আরো ভয়াবহ! অদৃশ্য সূক্ষ্ম শত্রু কোনো অংশে কম নয়।
অবহেলা আর অসতর্কতার জন্যে চরম মূল্য দিতে হবে। নিজেরা সাবধান হচ্ছিনা। নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছি। অনর্থ ঘোরাঘুরি কি মূল্য? বিপদ ডেকে আনা ছাড়া? ৭০০০মেট্রিক টন অঙিজেন উৎপাদন করে ভারত। আজ মহামারীর প্রকোপ চীনকে ছাড়িয়ে গেল এ দেশ। ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
আপাতত টিকা ১ম ডোজ সাময়িক ভাবে টিকা প্রদান বন্ধ আমাদের দেশে। করোনা যেন অলিম্পিক গেমস রেসে নেমেছে। দেখি কোন দেশ এগিয়ে? এক দুর্বার অপ্রতিরোধ্য সাইক্লোন গতিতে। সুনামির মত আছড়ে পড়ছে বিশ্ব গৃহে।
নতুন ভাবে বেকারত্ব বাড়ছে। মাস্টার্স করে শত শত ছেলেমেয়েরা বেকার। কাজের সুযোগ কমছে। কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে। ঈদের টাকা সেখানেই দান করি। স্কুলের ফি দিতে পারছেনা শত শত পরিবার। এ সমস্যা বেশী দূর যেতে হবেনা নিজেদের আপনজন আত্মীয় স্বজনের মাঝে খুঁজে পাওয়া যাবে। কারো ব্যবসা বাণিজ্যে করুণ হাল। অভাব দেখা দিয়েছে সেই ঋণগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াই। পরের খুশিতে সামিল হই। সেখানে দান করি। ঈদ ত্যাগের মহিমা শেখায়। পরের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা সেই তো ঈদ। অর্থনীতির চাকা থমকে গেছে সর্বস্তরে। লকডাউন অর্থনীতি চাকা সচলের বিপক্ষে। তাই সরকার শিথিল করেছেন। আমরা যেমন বসে ভাবছি করোনা আমাদেরকে স্বার্থপর করে দিচ্ছে। তেমনি মানব সেবার সুযোগও করে দিচ্ছে। তাই ভালো দিক টুকু গ্রহণ করি। মানুষকে ভালোবাসি। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের পাশে দাঁড়াই।