ওমানে নিহত তিন প্রবাসীর লাশ রাঙ্গুনিয়ায় নিজ গ্রামে ফিরেছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে তাদের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা থেকে রাঙ্গুনিয়ায় আসে। এর আগে ওমান থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ৭টার দিকে তাদের বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে। একইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে পশ্চিম সরফভাটায় সালাউদ্দিন এবং বেতাগী বালুরচর এলাকায় আক্তার হোসেন এবং পৌনে ৮টার দিকে পোমরা মাইজপাড়ায় মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামকে জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তারা তিনজনই মাস্কাট মডার্ন রোজ ট্রেডিং ইন্টারপ্রাইজ এলএলসি নামক একটি কোম্পানির পর্দার সেকশনে চাকরি করতেন। কথা ছিল লকডাউন শেষে তিনজন একসাথে বাড়ি ফিরবেন। তবে একসাথে দেশে ফিরে ঠিকই, তবে লাশ হয়ে! গত ১৮ এপ্রিল ওমান সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সালালাহ থেকে মাস্কাটগামী একটি প্রাইভেট কার সড়কের আল তামরিত নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারালে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। তাদের কর্মরত কোম্পানির অন্যতম পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, এই তিনজন লকডাউন শেষে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা তাদের জীবন্ত ফিরতে দেয়নি।
গতকাল বিকালে তাদের লাশ এলাকায় পৌঁছলে এক করুণ দৃশ্যের অবতারণা হয়। প্রত্যেকের বাড়ির উঠান-ঘরে মানুষের ভিড়। শোকে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন পরিবারের স্বজনরা। সবার চোখেমুখে শোকের ছায়া। শোকে মুহ্যমান পরিবারগুলোকে শান্ব্তনা দেয়ার ভাষা যেন হারিয়ে ফেলেছেন স্থানীয়রা। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।












