করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বেসামাল অবস্থার মধ্যে আক্রান্তদের শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় জরুরি উপাদান অক্সিজেনের মারাত্মক ঘাটতিতে পড়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। গতকাল বুধবার দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসোদিয়া বলেছেন, রাজধানীর বড় সরকারি হাসপাতালগুলোর অক্সিজেন মজুদ দিয়ে আট থেকে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সেবা কার্যক্রম চলতে পারে। কিছু বেসরকারি হাপাতালের মজুদের পরিমাণ মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার মতো। কাল (বৃহস্পতিবার) সকালের মধ্যে পর্যাপ্ত সরবরাহ না পেলে একটা বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এ ব্যাপারে জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, দেশ একটি করোনাভাইরাস ‘ঝড়ের’ কবলে পড়েছে, যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে নাকাল করে ফেলেছে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রবল দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় সরকার সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছে। দেশজুড়ে হাসপাতালের শয্যা, অক্সিজেন ও ভাইরাস প্রতিরোধক ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে কেন্দ্র।
টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে মোদী বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই ছিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ একটি ঝড়ের মতো আছড়ে পড়েছে। ভারতের নিকট ইতিহাসের ভয়াবহতম এই জরুরি অবস্থার মধ্যে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মোদী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলো এবং বেসরকারি খাতও একত্রে চেষ্টা করে যাচ্ছে।