চকরিয়ায় সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কোচিং কার্যক্রম চালু রাখায় কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় স্কুলের ছাত্রাবাস সিলগালা করাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তবে পরে মুচলেকা নিয়ে শিক্ষকসহ আটক পাঁচজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ, চকরিয়া গ্রামার স্কুল এবং কয়েকটি কোচিং সেন্টারে এই অভিযান চলে। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।
আদালত সূত্র জানায়, গত একবছরের বেশি সময় ধরে করোনার কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি স্কুলগুলোর আবাসিক ছাত্রাবাসও খোলা রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ দৈনিক আজাদীকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে সরকার ১৮টি নির্দেশনা দিয়ে মাঠপর্যায়ে তা বাস্তবায়নে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সেই নির্দেশনা না মেনে কার্যক্রম চলিয়ে যাচ্ছে। এজন্য আইন অমান্যকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আবাসিক ছাত্রবাস সিলগালা এবং শিক্ষকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। পরে মুচলেকা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।