নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা। তাদের দাবি, পুলিশ কোনো তদন্ত ছাড়াই মামলা হওয়ার সাথে সাথে তাকে গ্রেপ্তার করাও রহস্যজনক। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগও হাস্যকর।
গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম.এ আজিজ। এসময় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ডা. শাহাদাতের আইনজীবী অ্যাড. কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাড. এ.এস.এম বদরুল আনোয়ার, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. এনামুল হক। গত ২৯ মার্চ সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগর বিএনপির উদ্যোগে কাজীর দেউড়ি নুর আহমদ সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরপর ডা. শাহাদাতসহ ১৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা হয়। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি।
লিখিত বক্তব্যে এম এ আজিজ বলেন, ডা. শাহাদাতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা হাস্যকর। চট্টগ্রামে সরকার বিরোধী আন্দোলন দমিয়ে রাখতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এতে ডা. শাহাদাত ও মহিলাদল নেত্রী মনোয়ারা বেগম মনিসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো হয়।
এতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, নাজিমুর রহমান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলমসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, ডা. শাহাদাতসহ তিনজনকে আসামি করে ডা. লুসি খান মামলা করেছেন। মুজাফফর আহমেদ ও তিন নম্বর আসামি ফাতেমা জহুরা, যিনি মুজাফফরের স্ত্রী। বলা হয়েছে, শাহাদাত হোসেনের নির্দেশে ডা.লুসি খানের সচিবকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। বাদি লুসি খান বলছেন, গত ২০ মার্চ উনার এনজিও অফিসে গিয়ে উনার সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে ডেকে নিয়ে মারধর ও চাঁদা দাবি করা হয়। মুজাফফর আহমেদ প্রায় ২০ বছর ধরে সৌদি প্রবাসী। তাঁর স্ত্রী ২০২০ সালে করোনা শুরুর আগে বাংলাদেশে আসেন এবং ২০২১ সালের ১১ মার্চ থেকে মুজাফ্ফর আহমদ সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। চাঁদা দাবি ও অপহরণের কথা বলা হচ্ছে, যে লোক বাংলাদেশে নেই তাঁর বিরুদ্ধে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক শত্রু পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে মেয়র নির্বাচনে সৃষ্ট ইমেজ ধ্বংস করার জন্য মামলাটি করেছেন লুসি খান।
এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ.এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, সদস্য এনামুল হক, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য নুরুল আমিন, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আজম উদ্দিন প্রমুখ।