বিএনপি নেত্রী ডা. লুসি খানের করা চাঁদা দাবি ও অপহরণ মামলায় নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এরআগে গত মঙ্গলবার ডা. শাহাদাতের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে চকবাজার থানা পুলিশ।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ আজাদীকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ডা. শাহাদাতের আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, কারাগারে ডা. শাহাদাতের ডিভিশন ও সুচিকিৎসা চেয়ে গত মঙ্গলবার পৃথক দুটি আবেদন করা হয়। বুধবার আদালত এ দুটি আবেদনের উপর শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন। গত ২৯ মার্চ চকবাজার থানায় ডা. শাহাদাতসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও তার এনজিও কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরীকে কৌশলে অপহরণের অভিযোগ এনে মামলাটি করেন ডা. লুসি খান।
এদিকে,একইদিন কাজীর দেউরীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার ১১ নেতাকর্মীর ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর এবং ৫ নারী নেত্রীর রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালত। রিমান্ডপ্রাপ্ত ১১ জন হলেন- ডা. শাহাদাতের পিএস মারুফুল হক চৌধুরী (৪০), মো. ফিরোজ (৩৪), মো. তারেক আজিজ (২৪), মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৫), সাঈদ তানজিম মাহমুদ (২০), আব্দুর রহিম প্রকাশ মিনার রহিম (২২), মো. আলী আকবর হোসেন (১৯), মো. লিটন (২২), মো. হায়দার হোসেন (৪১), মো. সাকিব হোসেন (১৯), মোতালেব (৪২)। যাদের রিমান্ড নামঞ্জুর হলো তারা হলেন- মনোয়ারা বেগম মনি (৫২), আঁখি সুলতানা (৪২), মাহমুদা আক্তার লিটা (৩৫), রিমানা বেগম (৪০) ও ফাতিমা কাজল (৩৫)।
এরআগে গত মঙ্গলবার বিএনপির ১৬ জন নেতাকর্মীর ৭ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। একটির বাদী নগর ট্রাফিক পুলিশের (দক্ষিণ বিভাগ) সার্জেন্ট মো. আমজাদ হোসেন। অপরটির বাদী কোতোয়ালী থানার সিআরবি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রবিউল ইসলাম। সার্জেন্ট আমজাদের মামলায় ৫৮ জনের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়। এসআই রবিউলের মামলায় ৪৩ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে অভিযোগ আনা হয়।