প্রতিদিন আমি সুন্দর খুঁজেছি
শত সুন্দর মুখে।
গড়নে- বরণে, চলনে-স্টাইলের ছটায়।
খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত হয়ে
অবশেষে হাল দিয়েছি ছেড়ে।
একদিন রুগ্ন হাত বাড়িয়ে
আমার দিকে তাকিয়ে বৃদ্ধা।
অবহেলে রুপালি মুদ্রা রাখলাম সে হাতে।
অকস্মাৎ বৃদ্ধার লোলচর্মা মুখে
লক্ষ বাগানের ফুল ফুটল।
আমি প্রথম আবিষ্কার করলাম –
সুন্দর!
রাস্তা পার হতে দেখি-
মুদির দোকানে সদাই করছে
উস্কোখুস্কো চুলের রোদে-পোড়া কিশোরী,
দোকানির অনাকাঙ্খিত স্পর্শে
জ্বলে উঠেই কিশোরী
চড় কষিয়ে দিল- চটাস!
আমি বিস্ময়ে দেখলাম
অপূর্ব সুন্দর!
পথ চলতে জামার আস্তিন আটকে গেলে
ছাড়িয়ে দিল যে ছেঁড়া প্যান্ট পরা বালকটি
তার চোখে দেখেছি অপার সৌন্দর্য!
ভীড়-ভ্যাপসা বাসে দাঁড়িয়ে থেকে
যে যুবক বসতে দেয় প্রবীণ যাত্রীকে,
তার চিবুক ছুঁয়ে আছে পবিত্র সুন্দর।
গাড়ির ধাক্কায় আহত মানুষকে বাঁচাতে
রিকশা ফেলে দৌড়ে এসেছে যে চালক-
তার কালি-ঝুলি মাখা রুক্ষ হাতে আমি পড়েছি
সুন্দরের ব্যাকরণ।
বুঝি, সুন্দর গেঁথে আছে
অন্তরে অনন্তকাল।