অবিভক্ত বাংলার একজন কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব স্যার আজিজুল হক। তিনি ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিবিদ ও লেখক। সমাজসেবায়ও তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। আজ এই প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বের ৭৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।
আজিজুল হকের জন্ম ১৮৯২ সালের ২৭শে নভেম্বর নদীয়ার শান্তিপুরে। পেশাগত জীবনের সূচনা আইনজীবী হিসেবে। পরবর্তীসময়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ পদে অধিষ্ঠিত থেকে সমাজ সেবায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি নদীয়া জেলা বোর্ডের ভাইস চেয়্যারম্যান, কৃষ্ণনগর মিউনিসিপ্যালিটির চেয়্যারম্যান, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার স্পিকার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইংল্যান্ডে ভারতের রাষ্ট্রদূত সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকেছেন। এছাড়া আজিজুল হক বঙ্গীয় সরকারের শিক্ষামন্ত্রী এবং বাণিজ্য, শিল্প ও খাদ্য বিভাগের মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন সরকারি স্কুলে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলা চালু, শিক্ষাঙ্গণে শিক্ষা সপ্তাহ পালন কর্মসূচি প্রবর্তন, প্রাথমিক শিক্ষা পরিকল্পনাকে অ্যাক্টে পরিণত করা এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
স্যার আজিজুল হক রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘হিস্ট্রি অ্যান্ড প্রবলেমস অব মুসলিম এডুকেশন ইন বেঙ্গল’, ‘দ্য ম্যান বিহাইন্ড দ্য প্লাউ’, ‘দ্য সোর্ড অব দ্য ক্রিসেন্ট মুন’ উল্লেখযোগ্য।
১৯৪৭ সালের ১৯শে মার্চ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে কলকাতায় স্যার আজিজুল হক মৃত্যুবরণ করেন।