চট্টগ্রামে আউটার রিং রোডের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন খালের মুখে দেয়াল নির্মাণ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ, এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন হালিশহরের বাসিন্দারা। গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় সামাজিক সংগঠন নাগরিক উদ্যোগ।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, চট্টগ্রামকে বিশ্বের উন্নত শহরে রূপান্তরিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিচ্ছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থও বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ঠিক তেমনি একটি প্রকল্প হচ্ছে, আউটার রিং রোডের উন্নয়ন প্রকল্প, যার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। কিন্তু আউটার রিং রোডের পূর্বপাশে অবস্থিত পতেঙ্গা, হালিশহর টু কাট্টলীবাসীর স্বাভাবিক পানি চলাচলের পথ রুদ্ধ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তারা জানান, উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন অন্তত পাঁচটি খালের স্লুইসগেটে পানি নিষ্কাশনের প্রবেশ মুখে বে টার্মিনালের সীমানা দেয়াল নির্মাণ করছে সংস্থাটি। এর ফলে বিশাল এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হতে পারে জলাবদ্ধতা। আর এতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে স্লুইসগেটের মুখ বন্ধ করে বে টার্মিনালের সীমানা দেয়াল নির্মাণে আপত্তি জানিয়ে এ নির্মাণ কাজ বন্ধে অনুরোধ জানিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন ওমরাহ পালনের জন্য বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছেন। সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বলেন, লালদিয়ার চরের পর পতেঙ্গা থেকে হালিশহর টু কাট্টলীবাসীদের জলে ডুবিয়ে রেখে উৎখাতের চেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দরের। এলাকাবাসীকে সোচ্চার ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সুজন বলেন, হালিশহরবাসীর জায়গা-জমি সরকারের বিভিন্ন সংস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বারেবারে অধিগ্রহণ করেছে। এমনকি প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার পরও ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অনেকে। বছরের নানা সময়ে অধিগ্রহণের খড়গ ঝুলতে থাকে ওই এলাকার অধিবাসীদের ঘাড়ে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার সমীক্ষা ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে দেয়াল নির্মাণ করে এলাকাবাসীকে পানিতে নিমজ্জিত করতে চায়, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি সিডিএসহ নগর পরিকল্পনাবিদদের সমন্বয়ে শক্তিশালী কমিটি গঠন করে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বিশিষ্ট কলামিস্ট প্রফেসর ফজলুল হক, রাজনীতিবিদ ইন্দু নন্দন দত্ত, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, অনির্বাণ দাশ বাবু, সমীর মহাজন লিটন, সাইফুল্লাহ আনছারী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।