জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি, শুধু সুপারিশ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘৭ই মার্চ থেকে ১৯ মার্চ ১৯৭১ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়; সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ সভায় মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টিতে বোঝার ভুল আছে। যেদিন আমরা এ বিষয়ে সভা করি সেদিন কিছু লোকের খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এরা হচ্ছে আত্মস্বীকৃত খুনি, আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত এমন ব্যক্তি। সেই পর্যায়ে আলোচনা হয়েছিল যে বঙ্গবন্ধুর খুনির সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন। অনেকেই অনেক উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি যে খুনি সেটা প্রমাণ করে অনেকেই অনেক তথ্য দিয়েছেন। খবর বাংলানিউজের।
মন্ত্রী আরো বলেন, এ পর্যায়ে আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি। দুই মাসের মধ্যে দালিলিক প্রমাণ, কবে কত তারিখে কে কি করেছে এসব প্রমাণ দাখিল করতে হবে। তারপর রিপোর্ট পাওয়ার পর কমিটিতে আলোচনা হবে। চুলচেরা আলোচনা করে পরবর্তীকালে বলতে হবে।
তিনি বলেন, কেউ কেউ লিখেছে পত্রিকায় এটা বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে, কেউ কেউ বলেছে কমিটি করা হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি মিডিয়ায় বিষয়টা পরিষ্কার করতে। আমরা খেতাব বাতিল করি নাই, বাতিল করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে তদন্ত কমিটি করে তার রিপোর্ট পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। সিদ্ধান্ত হয়েছে তিনি কবে কোথায় কিভাবে খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সেটা খুঁজে বের করার। এটা বের করার পর আমরা জাতির সামনে পেশ করবো।