পটিয়ার শিকলবাহা খালে পুরনো একটি ব্রিজের পিলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে ৭শ টন পাথরসহ একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন দুই শ্রমিক। তারা হলেন নোয়াখালীর চেরাগ আলীর পুত্র রহমত আলী (২৭) ও সুনামগঞ্জের ছৈয়দ আহমদের পুত্র আবুল কালাম মুন্সী (৪৫)। গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পায়নি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আজ আবার উদ্ধার অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন সদরঘাট নৌ পুলিশের এসআই কুমারেশ বড়ুয়া। সংশ্লিষ্টরা জানান, কোনো ধরনের নিয়ম কানুন না মেনে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে কর্ণফুলী নদী থেকে পাথর বোঝাই করে বাল্কহেডটি পটিয়ার কালিয়াইশের দিকে যাচ্ছিল। পরে পিলারের সাথে ধাক্কা খেলে বাল্কহেডটির তলা ফুটো হয়ে খালে ডুবে যায়। ওই সময় নৌযানটিতে ২৪ জন শ্রমিক ও ৫ জন স্টাফ ছিলেন। দুর্ঘটনার সাথে সাথে তারা পানিতে ঝাঁপ দেন। এ সময় ২২ জন শ্রমিক এবং ৫ স্টাফ সাঁতার কেটে কূলে উঠতে পারলেও ভেসে যায় অপর দুই শ্রমিক। এছাড়াও বাল্কহেড থেকে পড়ে নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে অপর এক শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পটিয়া ও আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এবং নৌ পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল, বহির্নোঙর এবং কর্ণফুলী নদীতে বাল্কহেড চলার কোনো অনুমোদন নেই। অননুমোদিত এসব নৌযান যখন-তখন ডুবে যায়। নেভাল আর্কিটেকচারাল ডিজাইন ছাড়া তৈরি এসব বাল্কহেড চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠছে। গত কয়েক মাসে চট্টগ্রামে একাধিক বাল্কহেড ডুবির ঘটনা ঘটেছে। বাল্কহেড চলাচল বন্ধে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌবাণিজ্য অধিদপ্তর, ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে নানাভাবে চেষ্টা করা হলেও কোনোভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।