আরো ৯ হাজার ভায়াল (৯০ হাজার ডোজ) করোনার টিকা পেয়েছে চট্টগ্রাম। গতকাল (রোববার) রাত ৮টার দিকে এসব টিকা চট্টগ্রামে পৌঁছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি ও চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে এসব টিকা রাখা হয়েছে। চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির চাহিদার প্রেক্ষিতে নতুন করে এসব টিকা পাঠালো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রথম দফায় বরাদ্দ প্রাপ্ত টিকার তুলনায় নিবন্ধনকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ১ লাখ ডোজ টিকার চাহিদা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সর্বশেষ পাওয়া ২০ লাখ ডোজ টিকার মধ্য থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এলাকার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১ লাখ ডোজ টিকার এ চাহিদাপত্র দেয়া হয়। চাহিদার ১ লাখ ডোজের মধ্যে রোববার ৯০ হাজার ডোজ টিকা পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেন ডা. সেলিম আকতার।
উল্লেখ্য, প্রথম দফায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (্চসিক) এলাকায় দেড় লাখ (১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৫) ডোজ টিকা বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর গতকাল পাওয়া ৯০ হাজার ডোজসহ এ পর্যন্ত প্রাপ্ত টিকার সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯০৫ ডোজ। অন্যদিকে রোববার (গতকাল) পর্যন্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৬ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। আর গতকাল দুপুর পর্যন্ত মহানগরের ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৩০ জন মানুষ টিকা নিতে অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
এসএমএস ছাড়া টিকা নয় : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে এখন কেবল অনলাইনে নিবন্ধিত কেন্দ্রেই টিকা নিতে হবে নিবন্ধনধারীকে। এ বিষয়ে চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী ও চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, যিনি যে কেন্দ্রের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন, এখন থেকে তিনি সে কেন্দ্রেই টিকা নেবেন। ভিন্ন কোনো কেন্দ্রে টিকা নেয়া যাবে না। আর নিবন্ধনের পর টিকাগ্রহণের তারিখ ও সময়সহ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধনকারী তার মোবাইলে একটি এসএমএস পাবেন। ওই এসএমএস-এ উল্ল্লিখিত তারিখে নিবন্ধনকারী টিকা নিতে কেন্দ্রে যাবেন। কেন্দ্রে গিয়ে মোবাইলে আসা এসএমএস দেখিয়ে তিনি টিকা নিতে পারবেন। এসএমএস না আসা পর্যন্ত টিকা নিতে পারবেন না। এসএমএস পাওয়া সাপেক্ষে সকলকে নিবন্ধিত স্ব-স্ব কেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন এ দুই কর্মকর্তা।
