চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া সকল (নির্বাচিত এবং পরাজিত) মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন থেকে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রত্যেক প্রার্থীর (মেয়র ও কাউন্সিলর) নিকট চিঠি পাঠিয়েছেন। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রেরিত চিঠি থেকে জানা গেছে, নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের নিকট প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী (মেয়র ও কাউন্সিলর) প্রার্থীকে এজেন্ট ফরমের কলাম অনুযায়ী নির্বাচনী ব্যয়ের একটি রিটার্ন দাখিল করতে হবে। যারা নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হবেন তারা স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ৭০ এর উপ বিধি ১ (খ) লঙ্ঘনের দায়ে ন্যূনতম ৬ মাস ও অনধিক ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২৭ জানুয়ারি। নির্বাচনে জয়ী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পেজেট প্রকাশ হয়েছে ৩০ জানুয়ারি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচনে মোট ৭ মেয়র এবং ২২৫ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। রেজাউল করিম চৌধুরী ও ডা. শাহাদাতে হোসেন ছাড়া অপর মেয়র প্রার্থীরা হলেন- এনপিপির আবুল মনজুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মোতিন (মোমবাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি)।