চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নব-নিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম. শাহজাহান ও কাস্টস্্ হাউজের কমিশনার এম. ফখরুল আলমের সাথে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁদের কার্যালয়ে পৃথকভাবে বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যে দৃশ্যমান। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারসহ সকলের সহযোগিতায় পোশাক শিল্পখাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই লক্ষ্যে তিনি করোনাকালীন দুঃসময়ের মধ্যেও সার্বক্ষণিকভাবে কাস্টমস্্ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। চলমান মন্দাবস্থা উত্তরণে পোশাক শিল্পের পণ্য চালান দ্রুত খালাস ও ক্রেতার নির্ধারিত সময়ে রপ্তানি নিশ্চিতকরণে কাস্টমস্্ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নব-নিযুক্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সূচারুভাবে সম্পাদন করছে। তিনি আমদানি খরচ কমানো ও ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে থেকে যানজট কমনোর লক্ষ্যে পানগাঁও বন্দর ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এই লক্ষ্যে বিজিএমইএ সহ সকল স্টেক হোল্ডারদের সহযোগিতা কামনা করেন।
কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রামের কমিশনার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সমাজকে সহযোগিতা তথা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার লক্ষ্যে কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রাম সার্বক্ষণিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সকলের সহযোগিতায় বর্তমান মন্দাবস্থা কেটে যাবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) আবদুর রহিম ফিরোজ, পরিচালক খন্দকার বেলায়েত হোসেন ও প্রাক্তন সহ-সভাপতি এ বি এম সামশুদ্দিন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।