বিএনপির কর্মসূচি আসছে ‘ধাপে ধাপে’

| সোমবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের উদ্যোগের প্রতিবাদে আবার বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি বলেছে, ধাপে ধাপে আরও কর্মসূচি দেওয়া হবে। আগামী বুধবার বরিশাল বিভাগ ছাড়া সারাদেশে মহানগর ও জেলায় সমাবেশ হবে বলে গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় স্বৈরতন্ত্র ও মাফিয়াতন্ত্র পতনের দাবিতে ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের খেতাব বাতিলের সরকারি অপচেষ্টার প্রতিবাদে আগামী বুধবার বরিশাল বিভাগ ছাড়া সারাদেশে মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল সদরে আয়েজিত সমাবেশে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অংশ নিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও কর্মসূচি আসবে কি না- প্রশ্ন করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ধাপে ধাপে অবশ্যই কর্মসূচি থাকবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সরকার পতনের আন্দোলন আমাদের চলমান আছে। বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করতে যাচ্ছি। আগামী ১৮ তারিখ বরিশালে আমাদের যে সমাবেশ এটাও তো আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে আন্দোলনকে আমরা আমাদের লক্ষ্যে নিয়ে যেতে চাই।
জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার সরকারি পরিকল্পনার অংশ বলে মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ। শেখার চেষ্টা করুন, তারপর কথা বলুন: বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের নানা বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম খান। বিএনপি পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করছে- একথার জবাবে তিনি বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) নিজেরাই তো সাক্ষী গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যে ঘটনা ঘটেছে। এই ঝগড়াটা কে লাগিয়েছে? বিএনপি না সরকারের পুলিশ? তারা আক্রমণ করে যদি বলে আমরা ঝগড়া লাগাচ্ছি-এটার জন্য আমাদেরকে প্রশ্ন না করে বরঞ্চ তাদেরকে বলা উচিত যে, আপনাদের লোকরাই তো ঝগড়া লাগাইতেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদন প্রকাশে বিএনপির হাত রয়েছে- একথার জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, একজন মন্ত্রী একটা পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি আল জাজিরার মতো একটা সংবাদ মাধ্যম সম্পর্কে কিছু জানেন না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন। কাতারের শাসকগোষ্ঠীর মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম, তাকে প্রভাবিত করতেছে বাংলাদেশের বিরোধী দল বা বিএনপি। এরকম কথা যে বলে, তার প্রশ্নের কোনো জবাব দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। বরঞ্চ তাকে বলা দরকার যে, আপনি বোঝার চেষ্টা করেন, জানার চেষ্টা করেন, শেখার চেষ্টা করেন, তারপরে কথা বলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর ত্রিরত্ন এখন শুধুই স্মৃতি
পরবর্তী নিবন্ধঅপসংস্কৃতি থেকে যুব সমাজকে আদর্শিক পথে ফেরাতে হবে