আজকের দিনে শপথ নিতে পারি স্রষ্টার করুণাধারা মাথায় নিয়ে মানবতার কাজে জীবনের কিছু সময় অতিবাহিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। আমরা এমন জীবন গঠন করব যেন আমাদের ভালোবাসার কথা চিরকাল স্মৃতি হয়ে থাকে। পিতামাতার প্রতি সন্তানের, সন্তানের প্রতি পিতামাতার, ভাইবোনের পারস্পরিক, স্রষ্টার প্রতি সৃষ্টির কিংবা সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার অথবা সবচেয়ে বেশি প্রচলিত প্রিয়-প্রিয়ার এ যে হরেক রকমের সম্পর্ক সেই ভালোবাসাকে প্রতিনিয়ত অনুভব করতে হবে। কিছু চিত্র আমার মাঝে বিভিন্ন প্রশ্নের সমাহার নিয়ে উপস্থিত হয়। খারাপ লাগে যখন পত্রিকার পাতায় দেখি প্রেমিকের সাথে দেখা করতে যাওয়া মেয়েটি তার প্রেমিক দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে। প্রেমে সাড়া না পেয়ে কোনো যুবক যখন কোনো যুবতীর উপর এসিড নিক্ষেপ করে তখন আমি মর্মাহত হয়ে পড়ি। ভালোবাসা মানে একজন আরেকজনকে গভীরভাবে জানা। যে জানার মাঝে কোনো বিকৃত চাওয়া থাকবেনা। ভালোবাসার অনুভব হবে নতুন কিছু সৃষ্টি করার। যে সৃষ্টি প্রেমকে অমর করে রাখবে। ধর্ষণ,এসিড নিক্ষেপ, সবরকম অন্যায় অবিচার, হিংসা, আত্ম অহংকার আমাদের নতুন প্রজন্ম ঘৃণা করবেন আপন ভালোবাসার শক্তি দিয়ে। এই ভালোবাসা দিবসটিকে আমি অনেক ব্যাপকভাবেই চিন্তা করি। ভালোবাসা দিবস আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় আমি ঘরের বৃদ্ধ মা বাবার প্রতি যত্ন করছি কিনা? নাকি আমার মা বাবা বৃদ্ধাশ্রমে রাত্রিযাপন করছেন।আমরা আমাদের মা বাবাকে ভালোবাসব। যে বাসায় অথবা যে বাড়িতে স্বামী আর স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক থাকেনা সেখানে ভালোবাসার অভাবে সন্তানগুলো বিপথে পরিচালিত হবে। তাই আমাদের ক্ষনিকের জীবনে কিছু কাজ করে যেতে হবে যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম কিছু জানতে পারে, কিছু শিখতে পারে। ভালোবাসার শক্তি দিয়ে আমাদের মনোবলকে বৃদ্ধি করব যাতে আমরা মানবতার জন্য কাজ করতে পারি এবং প্রতিবেশী বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোর পাশে যেন দাঁড়াতে পারি ভালোবাসার চেতনায়।